মিরপুর থেকে যেভাবে ছিনতাই হলো মন্ত্রণালয়ের জিপ
ঢাকা: শনিবার রাত ৩টায় রাজধানীর শাহআলী থানার কাজীফুড়ি এলাকা থেকে পুলিশ মেহেদি হাসান (৩৬) ও মোরশেদা আক্তার প্রিয়াকে (৩২) গ্রেফতার করেছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতেই পুলিশ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ঘ ১৩-৮১০৪ নম্বরের কালো পাজেরো স্পোর্টস জিপটি উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত জিপের ভেতর পাওয়া যায় চালক টিপু সুলতানের লাশ। গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেয়া তথ্যে পুলিশ পুরো ঘটনার ছক জানতে পারে। পুলিশের কাছে তারা জানায়, মেহেদির বাসাতে বসেই জিপটি ছিনতাই ও চালককে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
এরপর ছক অনুযায়ী মেহেদি পূর্বপরিচিত চালক টিপু সুলতানকে তার ভাড়া বাসায় আসতে অনুরোধ করেন। সরল বিশ্বাসে টিপু মঙ্গলবার রাত রাড়ে ১০টায় হাজির হন মেহেদির শেওরাপাড়া এলাকার বাসায়। টিপুকে এসময় কোকের সাথে নেশাজাতীয় ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর দ্রুত বাসা ছেড়ে গাড়িতে ওঠেন মেহেদি, প্রিয়া ও টিপু।
গাড়ি চালাতে চালাতে টিপু মেহেদিকে জানান, তার ঘুম ঘুম পাচ্ছে। কৌশলে ঘুমভাব কাটানোর জন্য টিপুকে চায়ের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়। কিছুক্ষণ পরই চেতনা হারান টিপু সুলতান। এসময় টিপুকে গাড়ির পেছনের সিটে বসিয়ে চালকের আসনে বসেন মেহেদি।
গাড়িটি তুরাগে পৌঁছলে টিপুকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গাড়ির চাকা তার মাথার ওপর দিয়ে তুলে মৃত্যু নিশ্চিত করেন মেহেদি। এর পরপরই জিপ গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যান মেহেদি ও প্রিয়া।
উল্লেখ্য, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (সমন্বয়) এবং প্রকল্প পরিচালক মো হাবিবুল ইসলাম মঙ্গলবার রাজধানীর দারুস সালাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে ডিসি-ডিবি (পশ্চিম)- এর নির্দেশনায় গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার দল তদন্ত কাজ শুরু করে।
এডিসি আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে এ দলটি মেহেদি-প্রিয়াকে গ্রেফতার করে গাড়িটি উদ্ধার করে। এবং আসামিদের দেয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে গাড়িচালক টিপু সুলতানের লাশ উদ্ধার করে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনএইচ/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম








