News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:১৪, ১৯ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ০৩:৫৩, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

ঘুষ নিয়ে শিবিরকর্মীকে ছাড়ল পুলিশ

ঘুষ নিয়ে শিবিরকর্মীকে ছাড়ল পুলিশ

মিরসরাই: মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে ছেড়ে দিয়েছে জেলার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)। যাকে ছাড়া হয়েছে সে একজন শিবিরকর্মী। গতকাল গভীর রাতে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছাড়া হয়। এ অভিযোগ করেছেন মায়ানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির আহম্মদ নিজামী।

তিনি জানান, সীতাকুন্ড এএসপি সার্কেল ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সম্মতিতে ওই এএসআই শিবিরকর্মীকে ছেড়ে দেন। তার ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল আজিজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। সেটা ২০১০ সাল।  

তিনি বলেন, ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মারামারির ঘটনায় শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। আজিজ ওই মামলার আসামি। এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং সম্পত্তি ক্রোকের অর্ডার আছে জানিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে মিরসরাই থানার উপ-সহকারী পরির্দশক দেলোয়ার হোসেন ফোন করে থানায় ডেকে আনেন।

চেয়ারম্যান সূত্রে জানা গেছে, এসময় আবদুল আজিজের সাথে তিনিও থানায় আসেন। আজিজের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকার ব্যাপারটি তিনি জানতেন না। এরপর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ উদ্দিন ভূঁঞা, এএসপি সার্কেল (সীতাকুন্ড) সালাউদ্দিন সিকদার ও সহকারী উপ-পরিদর্শক দেলোয়ারের কাছে তিনি আজিজকে কেন ডেকে আনা হয়েছে তা জানতে চান।

দেলোয়ার তাকে জানান, আজিজের বিরুদ্ধে রাজশাহীর মতিহার থানায় একটি মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একথা শুনে চেয়ারম্যান  কবির নিজামী থানা ছেড়ে চলে যান।

আজিজের বোন হাসিনা আক্তার নিউজবাংলাদেশকে জানান, পুলিশ কর্মকর্তা দেলোয়ার বুধবার সন্ধ্যায় আজিজকে ফোন করে দুজন লোক নিয়ে থানায় আসতে বলেন। চেয়ারম্যান কবির আহম্মদ নিজামী ও তাকে নিয়ে আজিজ থানায় যায়। এরপরই আজিজকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

হাসিনা আরো বলেন, রাত সাড়ে ১১টায় দেলোয়ার তাকে ফোন করে জানান, বড় স্যারদের ম্যানেজ করা হয়েছে। আজিজকে ছাড়িয়ে নিতে হলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসেন। হাসিনা টাকা নিয়ে এসে রাত দেড়টায় থানা থেকে আজিজকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে ১টার দিকে থানার গোলঘরে চাহিদা মোতাবেক আজিজের বোন পুলিশের এএসআই দেলোয়ারের হাতে টাকা দেয়। এসময় পুলিশ ডিএসবি বেলাল উপস্থিত ছিলেন। পুলিশকে টাকা দেয়ার পর আবদুল আজিজকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।


এ ব্যাপারে জানতে দেলোয়ারকে ফোন করা হলে তিনি তার নাম্বারটি বন্ধ করে দেন। তবে এএসপি (সীতাকুন্ড সার্কেল) সালাউদ্দিন সিকদার মুঠোফোনে নিউজবাংলাদেশকে জানান, মিরসরাই থানায় কোনো আসামি গ্রেফতার নিয়ে চেয়ারম্যান কবির আহম্মদ নিজামীর সাথে তার কোনো কথা হয়নি।

তিনি আরো জানান, কোনো আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকলে তাকে ধরে ছাড়ার কথা নয়। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

চেয়ারম্যান কবির নিজামী নিউজবাংলাদেশকে জানান, বুধবার রাতে থানায় বসে সালাউদ্দিন সিকদারের সঙ্গে তিনি চা খেয়েছেন। আজিজকে ছাড়া যাবে না বলে তিনি নিজামীকে জানিয়েছিলেন।


নিউজবাংলাদেশ/এটিএস

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়