সখীপুরে দাফনের পাঁচ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

ছবি: নিউজবাংলাদেশ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে দাফনের পাঁচ মাস পর আদালতের নির্দেশে অটোরিকশাচালক আবু হানিফ খানের (৪৫) মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। নিহত আবু হানিফ খান ওই এলাকার বাসিন্দা শামসুল হক খানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার সময় পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খানপাড়া এলাকার একটি কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৫ এপ্রিল রাতে সখীপুর-ঢাকা সড়কের নলুয়া এলাকায় অটোচালক আবু হানিফকে মারধর ও কুপিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত আবু হানিফকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ৬ এপ্রিল অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২২ এপ্রিল রাতে তাঁর মৃত্যু ঘটে। পরে স্বজনেরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করে। লাশ দাফনের তিন মাস ১৭ দিন পর নিহত আবু হানিফ খানের স্ত্রী লাভলী আক্তার বাদী হয়ে আব্দুল মান্নান নামের একজনকে প্রধান করে ও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে টাঙ্গাইল আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে আদালত লাশের ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দেন। আজ দুপুরে কবর থেকে আবু হানিফ খানের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুন্নাহার শিলা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা রাসেল ভূঁইয়া, সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন চৌধুরী, এসআই মো. সুমনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মরদেহ উত্তোলনের সময় নিহত আবু হানিফ খানের স্ত্রী লাভলী আক্তার বলেন, এটা ছিনতাইয়ের ঘটনা নয়। এটা ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করত। হত্যাকাণ্ডের মাস খানেক আগে আব্দুল মান্নান নামের একজন ঠিকাদার একটি স্কুলের কাজ নিয়ে আমার স্বামীকে বকাঝকা ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার ধারণা ওই ঠিকাদার আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। মামলায় আসামি হিসেবে ঠিকাদারের নাম দেওয়া হয়েছে। বাকিদের অজ্ঞাতনামা করা হয়েছে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।
আরও পড়ুন: ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন
এ প্রসঙ্গে থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোশারফ হোসেন চৌধুরী বলেন, আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় কবর থেকে লাশ তুলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এরপর পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি