৩০ হাজার টাকার শুল্কের জন্য ঘুষ দিতে হয় ৫০ হাজার টাকা: শওকত আজিজ
বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ। ছবি: বিটিএমএ ওয়েবসাইট
ব্যবসা-বাণিজ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্রমালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেছেন, প্রতিটি ধাপে ছাড়পত্র নিতে হয়। সেই সঙ্গে দেখা যায়, ৩০ হাজার টাকা শুল্ক কর জমা দিতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। এ বাস্তবতায় এনবিআরকে নিজের সম্পদ গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে আগামী অর্থবছরের বাজেট–সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় এসব কথা বলেন শওকত আজিজ।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের বন্যা স্বাভাবিক ছিল না: ড. ইউনূস
তিনি বলেন, একসময় বিটিএমএ যন্ত্রাংশ আমদানি করত। যথাযথ হারে শুল্কও দেওয়া হতো। এ নিয়ে বিতর্ক হয়নি। ছাড়পত্র বিটিএমএর পক্ষ থেকেই দেওয়া হতো। কিন্তু এনবিআর পুরো বিষয়টি নিজের হাতে নেওয়ার পর জটিলতা বেড়েছে।
এক পণ্যের একাধিক এইচএস কোড আছে বলেও মন্তব্য করেন শওকত আজিজ। এ সমস্যা দূর করে এক পণ্য এক এইচএস কোডের অধীন নিয়ে আসা উচিত বলে মত দেন তিনি।
দেশের তৈরি পোশাক খাতে যে ১২ শতাংশ করপোরেট করারোপ করা হয়েছে, তাদের জন্যও সেই একই হারে করারোপ করার প্রস্তাব দিয়েছে বিটিএমএ। বস্ত্র ও পোশাক খাত পরস্পরের পরিপূরক। ফলে তাদের এ প্রস্তাব অযৌক্তিক নয় বলেই মনে করেন বস্ত্রমালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি








