মুহাম্মদ নুরুল করীম খানের ৪ কবিতা

১.
(লাকাদ খালাকনাল ইনসানা ফি আহসানি তাকউইম)
যে মন ভয় করে না তবু নির্ভীক পানাহার সে বৃক্ষ প্রিয়
পবিত্রতা প্রকাশ পাবে তার জন্ম ও মৃত্যুর শুভেচ্ছা নিও
দুনিয়ায় এমন সাতটি জিনিসের তিক্ততা ভাষণে বলেন শোনো
আটটি অংশ ব্যর্থ হয়েছে কল্যাণ লাভ কোনো
বর্ণনাকারী পাঠ করবে অমুক প্রয়োজনের কথা
শয়তান এসে বলে স্মরণ করো আজ তার ঘাড়ে ব্যথা
আড়াই হাজার কে কোনদিন আঙ্গুলে গুনে পাপ
দরজায় বসে বিল্লি-বিলাই ডাকলো বিড়াল ছানার বাপ
২.
ধোঁকা দেওয়া কঠিন। নিকটবর্তী করে যে সকল জিনিষ তুমি হয়ত সে সকল কিছুর শ্রবণকারী হবে অথবা ভালবাসা পোষণকারী হবে। তুমি যদি পঞ্চম প্রকার হতে যাও তাহলে ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি কঠোর মেজাজের মানুষকে ঘৃণা করেন।
আমাকে সংক্ষিপ্ত কিছু বলে দিন। তোমরা সমুদ্রেও নাও ভাসাবে। যদি মন গড়া কিছু বলো সেটা সত্য হলেও অবৈধ হবে। স্মরণে মনযোগী হও। তোমাকে নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা হবে।
৩.
প্রবেশ করতে পারবে না তোমার ঘরের লোকদের জন্য। মেজবান ও মেহমানদের সামনে দুধ-ভাত হাজির করা কম মনে করো। আমরাও দাঁড়ালাম। আমরা ছিলাম সংখ্যায় দশজনের বেশী। প্রতিশোধ গ্রহণ করিনি আমরা। ঘরের দরজা বন্ধও করিনি কখনো। বার্ধক্য রোধ করবো না। একদা আমাদের হবে এই অপরিমেয় সম্পত্তি। তবে বিবেচ্য হলে শাস্তি দিতে পিছু পা হবো না কখনো। আমরা যখন তোমাদের কাছে আসবো তখন যেন আমাদের হৃদয় থাকে নিরবিচ্ছিন্ন পবিত্র পার্থিব কোন সম্পত্তি প্রদান করা হয়নি আমরা তবু ভালো বাসবো আমরা ঘৃণাও করবো ঢের।
৪.
বিশুষ্ক সূর্যালোকে ফিরে আসে যে বিনয় মাধুর্য নির্বিকার আশ্রয়ে তাকে নিরন্তর বিস্মিত মানুষীর মতো বেসেছি ভালো। এতকাল আশ্চর্য শিশু হয়ে গোয়েন্দা আকৃতির পায়রাদের সাথে অবাক তৃষ্ণায় লিপ্ত হবো বনবিভাগের জমিন কিনে নিয়ে। আমার পরীক্ষার গান হবে বাতায়নের সক্ষম ক্লান্তিরা চিরমুগ্ধ অজীর্ণ জোনাকিরা রৌদ্রের লালা খেয়ে বেঁচে থাকতে চায়। ফিরে এসো ব্যর্থ দৃশ্যের অভিনেতার সাথে পৃথিবীর তাবৎ দেয়ালে দেয়ালে। তোমাকে ভালোবাসার শর্ত থেকে আমরা আজও সরিনি তুমি এসো আগুনের খঞ্জর লয়ে চতুর্দিকে তৃপ্তির আকাশকে ডেকে নিয়ে।