News Bangladesh

স্পোর্টস ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:৪৫, ৮ আগস্ট ২০২৫

তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে তিমুরকে গুঁড়িয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ

তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে তিমুরকে গুঁড়িয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে দুর্দান্ত ফর্ম অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। 

শুক্রবার (৮ আগস্ট) লাওস জাতীয় স্টেডিয়ামে গ্রুপ ‘এইচ’-এর দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পিটার বাটলারের দল। 

তৃষ্ণা রানী সরকারের হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি আরও পাঁচ ফুটবলারের গোলে নিশ্চিত হয় এই জয়।

এ জয়ের ফলে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট ও +১০ গোল ব্যবধানে গ্রুপে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। আগামী ১০ আগস্ট গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে তারা।

খেলার শুরুতে কিছুটা ছন্দহীন ছিল বাংলাদেশ। ৫ মিনিটে স্বপ্না রানীর শট ঠেকিয়ে দেন তিমুর গোলরক্ষক হালিনা মার্চি। ৮ মিনিটে স্বপ্নার ফ্রিকিক থেকে সুযোগ পেলেও তৃষ্ণা ও নবীরুন বল ছুঁতে ব্যর্থ হন।

১৫ মিনিটের পর খেলার রাশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় বাংলাদেশ। ২০ মিনিটে বাঁ দিক থেকে স্বপ্না রানীর কর্নার কিক থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার সিনহা জাহান শিখা।

৩২ মিনিটে কর্নার থেকে দুর্দান্ত বাঁকানো শটে ‘অলিম্পিক গোল’ করেন শান্তি মার্ডি। ৩৬ মিনিটে আবারও কর্নার থেকে গোল করেন নবীরুন খাতুন। শান্তির কিক থেকে লাফিয়ে উঠে হেডে বল জালে জড়ান তিনি।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় ৮০০ ক্রীড়াবিদ নিহত

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে শিখার কাটব্যাক থেকে ফাঁকা জালে বল পাঠিয়ে নিজের প্রথম গোল করেন তৃষ্ণা রানী। ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ।

বিরতির পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ৫৩ মিনিটে জয়নব রিতার ক্রস থেকে ফিরতি বলে গোল করেন তৃষ্ণা। এ ছিল তার দ্বিতীয় গোল।

৭৩ মিনিটে মিডফিল্ড থেকে বল নিয়ে ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে একক নৈপুণ্যে গোল করেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। এর দশ মিনিট পর, ৮৩ মিনিটে সাগরিকার পাস থেকেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তৃষ্ণা রানী।

ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে (৯০+৫') দলের হয়ে অষ্টম ও শেষ গোলটি করেন মুনকি আক্তার। রেফারি সাথেসাথেই বাজান শেষ বাঁশি।

তিনটি গোল করে ম্যাচসেরা হন ফরোয়ার্ড তৃষ্ণা রানী সরকার। মাঠজুড়ে তার দাপট স্পষ্ট ছিল। শান্তি মার্ডির অলিম্পিক গোলও ম্যাচের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে নজর কাড়ে।

বাংলাদেশের তিনটি গোল আসে কর্নার কিক থেকে। দুটি কর্নার আসে শান্তির পা থেকে, একটি স্বপ্না রানীর। কর্নার থেকে এই কার্যকর কৌশল ফুটবল বিশ্লেষকদের নজর কাড়ে।

গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী মণ্ডলও নিজের পোস্ট আগলে রাখেন দৃঢ়তায়। প্রথমার্ধে দুটি নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করে দেন প্রতিপক্ষ এমিলি রুতকোস্কির শট রুখে।

এই ম্যাচের আগে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ২৪ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছে ১০৪ নম্বরে। পূর্ব তিমুরের সঙ্গে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ ধাপে। মাঠের পারফরম্যান্সেও এই র‍্যাঙ্কিং পার্থক্য দৃশ্যমান ছিল।

প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৮-০ গোলের জয়—সব মিলিয়ে দুটি ম্যাচে ১১ গোল করে ও মাত্র একটি গোল হজম করে শীর্ষে বাংলাদেশ।

তবে মূল লড়াই এখন দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। ১০ আগস্টের ম্যাচে জয় কঠিন হলেও, পরাজয়ের ব্যবধান কম রেখে রানার্সআপ অবস্থানে থাকাই হবে বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য। কারণ আটটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন রানার্সআপ দলই পাবে মূল পর্বে খেলার সুযোগ।

ম্যাচশেষে কোচ পিটার বাটলার বলেন, মেয়েরা আজ দুর্দান্ত খেলেছে। পরিকল্পনার প্রয়োগ হয়েছে নিখুঁতভাবে। এখন আমাদের ফোকাস কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়