মহাকাশচারী পিতাকে মর্ত্যবাসী কন্যার বার্তা
মহাকাশচারী পিতাকে ভালবাসার কথা জানাতে মর্ত্যবাসী কন্যা বেছে নিলো অভিনব উপায়। টেক্সাসের ১৩ বছর বয়সী স্টেফানি নাসায় কর্মরত মহাকাশচারী পিতার সঙ্গে কেবল লং-ডিসটেন্স ফোন কলে সন্তুষ্ট হতে পারছিল না। আবার, মহাশুন্যে অবস্থানকারী পিতার কাছে কোনো পোস্ট বা বার্তা পাঠানোও সমস্যা। কিন্তু, মহাকাশচারী পিতাকে সে কতখানি মিস করে তা জানাতে ভিজ্যুয়াল নোট পাঠাতে চাইছিল স্টেফানি।
অবষেশে ছোট্ট মেয়েটি পিতার প্রতি ভালবাসা জানাতে বেছে নেয় এক অভিনব পন্থা। মহাকাশে ভেসে বেড়ানোর সময় স্টেফানির ফটোগ্রাফার পিতা পৃথিবীর ছবি তুলতে পছন্দ করেন। স্টেফানি পিতার এই ছবি তোলার শখের কথা ভালোভাবেই জানতো। আর, পিতার এই শখকে কাজে লাগিয়েই বার্তা পাঠাবার বুদ্ধি বের করে ফেলে সে।
বিশাল মরুভূমির বুকে বৃহদাকার শিল্পকর্ম স্থাপন করা গেলে নাসার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকেও তা দেখতে পাওয়া যাবে এমন চিন্তা থেকে মরুর বুকে পিতার জন্য মেয়ের হৃদয়ের আর্তি ফুটিয়ে তুলতে নেমে পড়ে স্টেফানি। মেয়ের আশা, মহাকাশ থেকে শখের ছবি তোলার সময় এই শিল্পকর্মটিও পিতার ক্যামেরায় ধরা পড়বে।
স্টেফানিকে এই কাজে সহায়তা করতে এগিয়ে আসল গাড়ি নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান হুন্দাই। নিছক পিতা-কন্যার ভালোবাসা প্রকাশের এই শিল্পকর্মটিই হয়ে উঠল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইজের আর্থ ড্রইং।
হেলিকপ্টারের সহায়তায় ওপর থেকে নির্দেশনা দিয়ে হুন্দাইয়ের ১১ টি সেডান গাড়ি নেভাডার ডেলামার ড্রাই লেকের বিশাল আয়তন জুড়ে স্টেফানির বার্তা লিখে দিল। এতে "স্টেফ (হার্ট) ইউ” (স্টেফ তোমাকে ভালোবাসি) তোমাকে", লিখে দেওয়ার পর মরুর বুকে ফুটে উঠল পিতার প্রতি মেয়ের ভালোবাসা।
আর পিতা, মহাকাশ থেকে পৃথিবীর ছবি তুলতে গিয়ে পেয়ে গেল কন্যার পাঠানো বার্তা। শুকনো মরুর বুকে লিখে রাখা এই বার্তায় সিক্ত হয়ে ফুটে উঠল পিতা-কন্যার অনন্য ভালোবাসা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম