সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় ১২৩টি সংগঠন মোট ১ হাজার ৬০৪ বার অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এতে তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার জন্য নির্ধারিত মাঠ আছে, কিন্তু অনেকেই সেটা না করে রাস্তাঘাট দখল করে ফেলে। রাস্তার একটি অংশ অবরোধ হয়ে গেলে পুরো শহরে যানজট বেড়ে যায়। এতে জনভোগান্তি অনেক বেড়ে যায়। তাই খোলা মাঠ কিংবা উদ্যানে কর্মসূচি করার আহ্বান জানাচ্ছি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এর সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার ওপর।
তিনি বলেন, নির্বাচনে নিরাপত্তা প্রদান ও আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে সর্বাত্মক সহায়তা করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জনগণের অবাধ ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। সবার সহযোগিতায় অন্তর্বর্তী সরকার শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে বলে আশা করি।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নামে ভুয়া অডিও রেকর্ড, মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদ
তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। তবে গণতন্ত্রের স্বার্থে সব দলের ঐক্য ধরে রাখা জরুরি। ঐক্যে ফাটল ধরলে দোসররা অস্থিরতা ও নৈরাজ্য তৈরি করতে পারে।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সার্বিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক দলের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ, পুলিশ সংস্কার কমিশন, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি ও ভুয়া সংবাদ ছড়ানোসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে পুলিশ যাতে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে, সেদিকেও জোর দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পুলিশ কখনো বেশি সক্রিয় হলে সমালোচনা হয়, আবার দেরি করলে ভিন্ন কথা ওঠে।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ক্রিকেট খেলায় দাগ কেটে বলা যায় না কোনটা ‘ওয়াইড’। গতকাল (শনিবার) আগুন লাগার পর পুলিশ বাধা দিয়েছে। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে আগুন ধরার আগেই অ্যাকশনে যাওয়া। এ ধরনের ঘটনা যেন ধীরে ধীরে কমে আসে, সেজন্য সবার সহযোগিতা দরকার।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বাচন প্রশিক্ষণ শুরু হবে। এ উপলক্ষে বড় পরিসরে প্রচার চালানো হবে এবং গণমাধ্যম কর্মীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে দলের কার্যকলাপ নেই তারা চাইবে নির্বাচন না হোক। কিন্তু এটি প্রতিহত করার দায়িত্ব জনগণ, রাজনৈতিক দলসহ সবার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতিতে আছে। বাকিটা নির্ভর করবে জনগণ ও রাজনৈতিক দলের ওপর।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








