ইসির অধীনে থাকছে না এনআইডি সেবা
ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অংশ হিসেবে আর থাকছে না জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বরং সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন (সিআরসি) নামে নতুন একটি আলাদা কমিশনের অধীন নেওয়া হচ্ছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন- এনআইডি কার্যক্রম।
এ লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন রহিতকরণ অধ্যাদেশের খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে ইসির একটি সূত্র বিষয়টি সংবাদম্যমকে নিশ্চিত করেছে।
ইসি সূত্র জানায়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩ বাতিলের জন্য রহিতকরণ অধ্যাদেশ হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের আলোকে জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি নিয়ে স্বাধীন কমিশনের অধীনে আলাদা বিভাগ করতে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে বিদ্যমান সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন (সিভিআরএস) এর মোড়ক পরিবর্তন করে কমিশনের ব্যানারে অধ্যাদেশ করার প্রস্তাব করেছে।
সোমবার (৩ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া’ পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভা করে।
উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া প্রণয়ন সময়োপযোগী।
আরও পড়ুন: পুলিশ লাইনে মিলেছে গোপন বন্দিশালার খোঁজ: গুম কমিশন
তবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন না রেখে সম্পূর্ণ স্বাধীন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করা সমীচীন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্মনিবন্ধন সনদ, জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে এনআইডি এবং এনআইডি’র ভিত্তিতে পাসপোর্ট প্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় অনাবশ্যক জটিলতা এবং জনদুর্ভোগ পরিহার করা আবশ্যক।
এই উদ্দেশ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ পরিমার্জন করে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করতে পারে। এই লক্ষ্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন অধ্যাদেশ করার প্রস্তাব করেছে।
এদিকে, এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো কিছুই জানে না নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমদ জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
তিনি বলেন, এনআইডির কাঠামোগত অবস্থান শক্ত কিংবা এর ব্যাপ্তি কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে কেবিনেট ডিভিশন একটা উদ্যোগ নিয়েছে। সেই কেবিনেট ডিভিশনে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। এর বাইরে নির্বাচন কমিশনের কিছু জানা নেই।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








