বজ্রপাতের সময় কি করবেন কি করবেন না
বর্ষাকাল শেষ। তবু ভাদ্র মাসেও চলবে বৃষ্টি। তাই বজ্রপাতের আশঙ্কাও রয়ে গেছে। শুক্রবারও ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতের হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে বজ্রপাতের আতঙ্ক কাজ করে। কিন্তু বাজ পড়লে কি করবেন- সেটা জানেন না অনেকেই। সেই সম্পর্কেই জানানোর একটু চেষ্টা করা হলো এখানে।
বাজ পড়লে খুব হাই ভোল্টেজ যদি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তার ফলে আমাদের শরীর তড়িতান্বিত হয়ে যায়। আসলে ছোটখাটো শক লাগলেও একই ঘটনা হয়, কিন্তু বাজ পড়ার সময় খুব হাই ভোল্টেজ তড়িৎ থাকে, ফলে মানব শরীর তা সহ্য করতে পারে না। উঁচু গাছপালা থাকলে গাছ নিজের দিকে টেনে নেয় কারেন্ট, ফলে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি আসতে পারে না বাজ। কিন্তু ফাঁকা জায়গায় বাজ পড়লেই বিপদ সবচেয়ে বেশি।
বাজ পড়ার সময় কী কী করবেন এবং করবেন না
বাড়ির বাইরে থাকবেন না, উঁচু জায়গা বা বাড়ির ছাদে থাকবেন না। পুকুর, হ্রদ, দীঘি, জলাশয়ের কাছে থাকবেন না।
বাড়ির ভেতরে থাকলেও বাজ পড়ার সময় ঘরের জানালা দরজা বন্ধ রাখুন। কংক্রিটের মেঝেতে শোবেন না, কংক্রিটের দেয়ালে হেলান দেবেন না।
বজ্রপাতের সময় জল ঘাঁটবেন না, স্নান করতে যাবেন না এই সময়ে।
বাইরে থাকলে বজ্রপাতের সময় একটা নিরাপদ আশ্রয়ে ঢোকার চেষ্টা করুন। দোকান বা বাড়ি হলে ভালো হয়। ফাঁকা জায়গায় যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নেবেন না।
বজ্রপাতের সময় গাড়িতে থাকলে জানালার কাচ তুলে দেয়া দরকার।
বাজ পড়ার সময় ফাঁকা মাঠে থাকলে নিজেকে গুটিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। গাছের তলায় দাঁড়াবেন না কখনওই। সমতলে শুয়ে থাকবেন না।
বৈদ্যুতিক সমস্ত কানেকশন বন্ধ করে রাখবেন। কোনও গ্যাজেট ব্যবহার করবেন না। ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলুন। বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ








