৫ দিনের রিমান্ডে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি
ছবি: সংগৃহীত
গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফরাজানা হক এই আদেশ দেন।
তৌহিদ আফ্রিদিকে রবিবার (২৪ আগস্ট) রাতে সিআইডির একটি দল বরিশালে তার চাচার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ঢাকায় নিয়ে আসে। এর আগে, গত ১৭ আগস্ট এই মামলায় তার বাবা ও বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরদিন আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে তৌহিদ আফ্রিদিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আনা হয় এবং হাজতখানায় রাখা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ সর্বোচ্চ সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের জন্য শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তৌহিদ আফ্রিদির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানির সময় আফ্রিদিকে নীরব থাকতে দেখা যায়, তবে তিনি উভয়পক্ষের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন।
আরও পড়ুন: তৌহিদ আফ্রিদির ৭ দিনের রিমান্ড চায় সিআইডি
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনকারী আসাদুল হক বাবুর বুকে ও ডান পাশে গুলি লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় গত ৩০ আগস্ট নিহত বাবুর বাবা জয়নাল আবেদীন যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলার এজাহারে নাসির উদ্দিনকে ২২ নম্বর এবং তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদিকে ১১ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউটিউব এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুপরিচিত কন্টেন্ট নির্মাতা তৌহিদ আফ্রিদি তার প্রভাব ব্যবহার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ২৪ জুলাই তিনি সেলিব্রিটি এবং অন্যান্য কন্টেন্ট নির্মাতাদের আন্দোলন বন্ধের আহ্বান জানাতে উস্কানি দিয়েছিলেন। যারা তার সাথে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন, তাদের হুমকিও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, আফ্রিদি লাইভে এসে আন্দোলনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য প্রচার করেছিলেন, যা বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দাবিকে অবমূল্যায়ন করে। তার এই ধরনের কার্যকলাপ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের নির্বিচারে গুলি চালাতে উৎসাহিত করেছিল, যার ফলে আসাদুল হক বাবুর মৃত্যু হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








