চিপের উৎপাদন বাড়ায় সস্তা স্মার্টফোনের দাম বাড়তে পারে
ছবি: ইন্টারনেট
চতুর্থ প্রান্তিক থেকে প্রাথমিক ও মধ্যম মানের স্মার্টফোনের দাম বাড়তে পারে। মেমরি চিপের দাম বেড়ে যাওয়ায় মোবাইল ফোনের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। চিপ নির্মাতারা এআই সার্ভারের জন্য উচ্চ-ব্যান্ডউইথ সক্ষমতার মেমরি উৎপাদনে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। ফলে সাধারণ মেমরি ও স্টোরেজের সরবরাহ কমে দাম বেড়েছে। ব্র্যান্ডগুলো হয় ফিচার কমাবে, নয়তো অতিরিক্ত খরচ গ্রাহকের ওপর চাপিয়ে দেবে। বাজার বিশ্লেষকরা এমনটাই মনে করছেন।
ভারতের সাপ্লাই চেইন বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ডফোর্সের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যম ও তার চেয়ে নিচু মানের স্মার্টফোনে ব্যবহৃত মোবাইল মেমরি চিপের সরবরাহ কমছে। কারণ, নির্মাতারা উৎপাদন কমিয়ে উচ্চ-ব্যান্ডউইথ সক্ষমতার মেমরি তৈরিতে ঝুঁকছেন। এআই ডেটা সেন্টারের চাহিদা বাড়ায় এই মেমরির বাজার জমজমাট।
ট্রেন্ডফোর্স জানিয়েছে, সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার ভয়ে ব্র্যান্ডগুলো আগেভাগেই বেশি কেনাকাটা করছে। এতে ভারসাম্যহীনতা বেড়ে এলপিডিডিআর৪এক্স-এর দাম চতুর্থ প্রান্তিকে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
একইভাবে ন্যান্ড ফ্ল্যাশ স্টোরেজের দামও বাজারের অস্থিরতায় বেড়েছে। এতে ব্র্যান্ডগুলোর ওপর খরচের চাপ আরও বেড়েছে।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের বিশ্লেষক পারভ শর্মা বলেন, এআই সার্ভারের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটারের চাহিদা বাড়ায় সাধারণ মেমরি চিপের দাম ও সংকট বেড়েছে। মেমরি বরাদ্দের বড় অংশ এখন উচ্চ-ব্যান্ডউইথ সক্ষমতার মেমরির দিকে যাচ্ছে। এআই হাই পারফরমেন্স কম্পিউটিংয়ের (এইচপিসি) জন্য এটি অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, মেমরি নির্মাতাদের জন্য স্মার্টফোনের চেয়ে এইচবিএম সরবরাহে খরচ ও মুনাফা অনেক বেশি।
স্মার্টফোনের বিল অব ম্যাটেরিয়ালসে (বিওএম) গুরুত্বপূর্ণ আরেক উপাদান ন্যান্ড ফ্ল্যাশ স্টোরেজ। এর দামও বাড়ছে। ট্রেন্ডফোর্স বলছে, ২০২৫ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে সব ধরনের ন্যান্ড ফ্ল্যাশের দাম গড়ে ৫-১০ শতাংশ বাড়বে। মেমরি ও স্টোরেজের দাম বাড়ায় ব্র্যান্ডগুলো হয় ফিচার কমাবে, নয়তো গ্রাহকের পকেটে হাত দেবে।
ইউটিউবের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে নতুন ইন্টারফেসে বড় পরিবর্তন
নতুন স্মার্টফোনের দাম বাড়ানোয় সমালোচনার মুখে পড়ে শাওমির প্রেসিডেন্ট লু ওয়েইবিং চীনা সামাজিক মাধ্যম উইবোতে বলেছেন, মেমরি চিপের দাম প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। এ চাপ আরও বাড়তে পারে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে চূড়ান্ত দাম নির্ভর করবে ব্র্যান্ডগুলো বিওএম কীভাবে সামলায় তার ওপর।
পারভ শর্মা বলেন, ব্র্যান্ডগুলো বিকল্প ভেবে মেমরির খরচ সামলাবে। সস্তা ডিসপ্লে বা কম ক্ষমতার ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারে। খরচ সামলাতে না পারলে দাম বাড়াবে।
উচ্চমানের স্মার্টফোনে এখন ডিভাইসে এআই প্রসেসিং বৈশিষ্ট্য হিসেবে যুক্ত হচ্ছে। এতে মেমরি ও স্টোরেজের চাহিদা আরও বাড়বে। তবে উচ্চমানের ফোনে মুনাফার হার বেশি থাকায় খরচ সামলানোর সুযোগ আছে। কিন্তু সস্তা ফোনে মুনাফা কম। তাই আগামী বছর থেকে এসব ফোনের দাম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন শর্মা। ইকনোমিক টাইমস
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএএইচ/এনডি








