News Bangladesh

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:৪৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক সিএসও ইমরান খান

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক সিএসও ইমরান খান

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত

দারিদ্র্য বিমোচনে মুহাম্মদ ইউনূসের আজীবন প্রচেষ্টা তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে এবং নিজের মাতৃভূমিতে বিনিয়োগের জন্য এখনই উপযুক্ত সময় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট বিনিয়োগকারী ও জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক সিএসও ইমরান খান।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে অবস্থান করা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা জানান তিনি। ।

সাক্ষাৎকালে মুহাম্মদ ইউনূস তাকে বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল ফিনটেক, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক ব্যবসা খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে ইমরান খান বলেন, “আমি আপনার কাজের ভক্ত। আপনি আমাদের জাতীয় গৌরব।”

তিনি জানান, ইউনূসের প্রভাবই বাংলাদেশে উন্নয়নে অবদান রাখতে তার আগ্রহের অন্যতম কারণ।

জেপি মরগান ও ক্রেডিট সুইসে সাবেক বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে কর্মরত থাকা ইমরান খান আলিবাবার ইতিহাস গড়া আইপিওতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি স্ন্যাপচ্যাটে সিএসও হিসেবে যোগ দিয়ে অল্প কয়েক মাসেই কোম্পানিটির বাজারমূল্য শূন্য থেকে ৭২৮ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সহায়তা করেন।

যুক্তরাজ্যে বিজ্ঞাপনমুক্ত ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম আনছে মেটা

সাক্ষাৎকালে ইমরান খান জানান, গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, “সময়টা অনুকূল। নীতিমালা এখন বিনিয়োগবান্ধব।”

বিশেষ করে ফিনটেক খাতের দ্রুত বৃদ্ধিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইমরান খান। তিনি জানান, সঠিক সুযোগ তৈরি হলে বিনিয়োগ আসবে।

স্ন্যাপচ্যাট সিএসও বলেন, “বাংলাদেশ একটি ফ্রন্টিয়ার মার্কেট, যেখানে ফিনটেক খাত এখনও অনেকটা অনাবিষ্কৃত। দেশের তরুণ জনসংখ্যা বিশাল, বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বিপুল।”।

প্রধান উপদেষ্টা কয়েক মাসের মধ্যে ইমরান খানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে ইমরান খান বলেন, তিনি সফরের পরিকল্পনা করবেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের তরুণদের আপনার মতো রোল মডেল দরকার। দেশে এখন উত্তেজনাপূর্ণ সময় চলছে-আপনি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে সাহায্য করতে পারেন।”

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা প্রস্তাব দেন যে, শীর্ষ মার্কিন বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের এক শতাংশ সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগে অথবা সমমনাদের অংশগ্রহণে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিলে ব্যয় করতে পারেন। ইমরান খান এই প্রস্তাবকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে সহায়তা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

সাক্ষাতে এসডিজি সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

৪৮ বছর বয়সী ইমরান ১৮ বছর বয়সে পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পরবর্তীতে প্রযুক্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগকারী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।

তিনি প্রোয়েম অ্যাসেটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তিনির্ভর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া খাতে, বিশেষত ফিনটেকে, বড় আকারের বিনিয়োগ করে। তার পোর্টফোলিওতে পেমেন্টস, ডিজিটাল অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাত রয়েছে

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়