News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:৪১, ৪ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ০১:০১, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

বজরঙ্গী ভাইজানের বাস্তব ‘মুন্নি’ পাকিস্তানে!

বজরঙ্গী ভাইজানের বাস্তব ‘মুন্নি’ পাকিস্তানে!

 

বলিউডের ব্লকবাস্টার ছবি ‘বজরঙ্গী ভাইজানে’ কথা বলতে না-পারা একটি পাকিস্তানি মেয়ে শিশু ভারতে হারিয়ে যাওয়ার পর কীভাবে সালমান খান তাকে আবার দেশে ফিরিয়ে দিলেন, সেই কাহিনী এখন সুপারহিট। এবার সেলুলয়েডের সেই গল্পের মতোই সীমান্তের ওপারে বাস্তবেও ১৫ বছর ধরে পাকিস্তানে আটকে পড়া একটি ভারতীয় মেয়েকে দেশে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিবিসি।

মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ড. টিসিএ রাঘবন  সস্ত্রীক করাচীতে গেছেন মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে।

‘বজরঙ্গী ভাইজানে- ‘মুন্নি’ চরিত্রে অভিনয় করা হারশালি মালহোত্রার মতো এই মেয়েটিও মূক ও বধির। পাকিস্তানে তার নাম দেওয়া হয়েছে গীতা। আজ থেকে ১৪ বছর আগে ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভুল করে সে ঢুকে পড়েছিল পাকিস্তানে। সেসময় পাকিস্তানের পাঞ্জাব রেঞ্জার্স তাকে উদ্ধার করে।

ছবি: বজরঙ্গী ভাইজান চলচ্চিত্রে মুন্নি চরিত্রে হারশালি মালহোত্রা


মাত্র আট-নয় বছর বয়সী ওই মেয়েটিকে ‘পাঞ্জাব রেঞ্জার্স’ পাকিস্তানের একটি সমাজ কল্যাণ সংস্থা এদ্‌হি ফাউন্ডেশনের হাতে তুলে দেয়। প্রথমে সে কিছুদিন লাহোরের এদ্‌হি সেন্টারে থাকলেও পরে ফাউন্ডেশন তাকে করাচীতে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসে।

সেখানে সে সমাজকর্মী বিলকিস এদ্‌হি-র দেখাশুনায় মানুষ হতে থাকে। বিলকিস এদ্‌হি-কে দ্য ‘মাদার অব পাকিস্তান’ নামে ডাকা হয়। তিনিই মেয়েটির নাম দেন গীতা।

১৫ বছর আগে পাকিস্তানে আটকে পড়া গীতার বয়স এখন ২৩ বছর। এর মধ্যে বহুবার ভারতে তার পরিবার কোথায় তা খুঁজে বের করার চেষ্টা হলেও সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।

মূক ও বধির হওয়ায় ভারতের মানচিত্র চিনতে পারলেও ভারতে কোথায় তার বাড়ি ছিল, সে বিষয়ে এদ্‌হি ফাউন্ডেশনের কর্মীদের কিছুই জানাতে পারেনি গীতা।
 
পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক মন্ত্রী আনসার বার্নি গীতার পরিবারকে খুঁজে বের করার জন্য নতুন করে আবেদন জানান। গীতার পরিবারের সন্ধান বের করার জন্য তিনি তার ফেসবুক পেজে প্রতিনিয়ত ক্যাম্পেন চালাচ্ছেন। বজরঙ্গী ভাইজান ছবি মুক্তি পাওয়ার পর সেই প্রচার অনেক বেড়ে যায়।

আনসার বার্নির আবেদনে সাড়া দিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে গীতার সঙ্গে করাচিতে দেখা করতে নির্দেশ দেন। তার সম্পর্কে সম্ভাব্য তথ্য সংগ্রহ করতেও বলেন তিনি।

স্বরাজ সেই নির্দেশের কথা টুইটারে জানানোর পরই ভারতীয় হাইকমিশনার ড. রাঘবন ইসলামাবাদ থেকে করাচির উদ্দেশে রওনা হন।

সম্প্রতি ‘বজরঙ্গী ভাইজান’ ছবিটি সুপারহিট হওয়ার পর গীতার কাহিনী আবার সামনে আসে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়