আবরার হত্যা: ফুটেজ দেখে ৯ জনকে আটক

আবরার হত্যার ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ দেখে নয় জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কুঞ্চপদ রায় একথা জানিয়েছেন।
আটককৃতরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহসভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাউল ইসলাম জিওন এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, তানবীরুল আবেদিন ইথান, জেমি, মুন্না, রবিন। ৯ জনকে আটকের কথা বললেও আরেকজনের নাম নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কৃঞ্চপদ রায়।
এদের মধ্যে তানবীরুল আবেদিন ইথান আজ সকালে বাড়ি থেকে আসে বলে জানায় শিক্ষাথীরা।
তিনি বলেন, আটকদের বিষয়ে আদালতের অবজারভেশনের একটি বিষয় আছে। ফুটেজ দেখে যেহেতু আমরা অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছি। পরে তাদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করতে থাকেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরারের মৃত্যু আঘাতের কারণেই হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিন বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ।
সোমবার দুপুর ২টায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, আবরারের মাথা, পায়ে এবং হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এর আগে, সোমবার রাতে রাজধানীর চকবাজারে অবস্থিত বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরার ফাহাদ (২১) নামে ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
সহপাঠীদের অভিযোগ, বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করায় আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে