News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:৩৩, ৩১ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ০০:০০, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু বুধবার

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু বুধবার

ঢাকা: বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এ পরীক্ষা শুরু হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বিরাজ করছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।

তবে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট বোর্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, “এবার হরতাল অবরোধের কারনে কোনো পরীক্ষা পেছানো হবে না। শুধুমাত্র সিটি নির্বাচনের কারণে ২৬-২৮ তারিখের পরীক্ষা পেছানো হবে।”

এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৩ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ২ হাজার ৮৯১ জন।

৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩৩, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৮৪ হাজার ৩৬০, কারিগরি বোর্ডের অধীনে ৯৮ হাজার ২৪৭ ও ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) ৪ হাজার ৩৪৪ জন শিক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

সারা দেশের মোট ২ হাজার ৪১৯টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হবে ১১ জুন। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ২২ জুন। দেশের বাইরে ৭টি কেন্দ্রে ২৪১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এবার ১৩টি বিষয়ের ২৫টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময়সূচি অনুযায়ী, তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হবে ১১ জুন। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ২২ জুন।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, “যে কোনো পরিস্থিতিতে পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা গ্রহণের সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবার ২৬-২৮ এপ্রিলের পরীক্ষা বাদে বাকি সব পরীক্ষা রুটিনমাফিক অনুষ্ঠিত হবে। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না।”

তিনি বলেন, “এর আগে যেমন বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে সহযোগিতা করেছিলেন, আশা করি এবারও তারা তা করবেন। তাদের বলবো সংখ্যাটা বাড়িয়ে দেন। আমাদের যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা তা নিয়েছি।”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “কোচিং সেন্টারগুলো নজরদারির মধ্যে রয়েছে। আর পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী ফটোকপির দোকান খুলতে দেবে না আমাদের আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। কোনো দুষ্টচক্রকে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফেসবুকে প্রশ্নপত্রের নামে সাজেশন প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া হবে না।”

অনেক প্রতিষ্ঠান ১০০ ভাগ পাস দেখানোর জন্য একটু দুর্বল শিক্ষার্থীদের আটকে দেয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “নবম শ্রেণিতে ও একাদশ শ্রেণিতে যারা রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) করে তাদের মধ্য থেকে কতজন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে তা আমরা নজরদারি করছি। কি কারণে নিবন্ধিত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিল না তা প্রতিষ্ঠানকে জানতে হবে।”

উল্লেখ্য গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৬৭ হাজার ৪৯০ জন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়