News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:১৫, ৩১ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ০১:৩৮, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

শাবিতে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

শাবিতে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফিজিক্যাল সায়েন্সের ডিন প্রফেসর ড. সাবিনা ইয়াসমিনকে প্রধান করে সোমবার এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন, শাবি প্রক্টর বনবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী ও সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা পারভিন।

সোমবার বিকেল ৩টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন শাবি ভিসি প্রফেসর ড. আমিনুল হক ভূঁইয়া।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৩ এপ্রিল থেকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ। উপাচার্য আমিনুল হক ভূঁইয়ার পদত্যাগের দাবিতে রোববার সকাল ১০টার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ কারণে সকাল ৯টা থেকে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দেন আন্দোলনরত শিক্ষকদের একাংশ। অন্যদিকে সকাল ৭টা থেকেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যানারে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে অবস্থান নেন।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপাচার্য তার কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাকে ঢুকতে বাধা দেন। তখন ছাত্রলীগ কর্মীরা এসে শিক্ষকদের ব্যানার কেড়ে নেয় এবং তাদের গলা ধাক্কা দিয়ে ও মারধর করে সরিয়ে দেয়। এ ফাঁকে উপাচার্য ভবনে ঢুকে দোতলায় নিজের কার্যালয়ে চলে যান।

শিক্ষকদের ওপর হামলাকারীরা এ সময় স্লোগান দেয়, শাবিপ্রবির মাটি ছাত্রলীগের ঘাঁটি।

এ সময় দেশের বিশিষ্ট লেখক ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকসহ অন্তত সাত শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপাচার্য ভেতরে ঢুকে যাওয়ার পর ছাত্রলীগ কর্মীরা শিক্ষকদের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নতুন করে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তাদের ধাক্কায় অধ্যাপক ইয়াসমিন হক মাটিতে পড়ে যান। ছাত্রলীগের এক কর্মীকে এসময় এক শিক্ষকের গায়ে লাথিও মারতে দেখা গেছে।

এসময় ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন সৈয়দ শামসুল আলম, পদার্থবিদ্যার শিক্ষক ইয়াসমিন হক, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গণি, অধ্যাপক মোস্তফা কামাল মাসুদ, এ ন ক সমাদ্দার ও সহযোগী অধ্যাপক মো. ফারুক উদ্দিন।

এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা সবই তো দেখছেন। আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না। নো কমেন্টস।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়