কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে গৃহবধূ হাসপাতালে
কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ভারতের উড়িষ্যার এক গৃহবধূ। ৩৭ বছর বয়সী ওই গৃহবধূর নাম সাবিত্রী সামাল।
বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ির পাশে জলাশয়ে হঠাৎ কুমিরের মুখে পড়েন এবং লড়াই করে বেঁচে যান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবিত্রী বলেন, “আমাদের ওখানে কোনো কুমির নেই। কেউ কোনোদিনই কুমির দেখেনি। কিন্তু সেদিন আমি বাসনপত্র পরিষ্কার করছিলাম। এ সময় হঠাৎ করেই একটি কুমির আমাকে আক্রমণ করে বসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমি দেখলাম, কুমিরটি এখনই আমাকে কামড়ে পানির নিচে নিয়ে যাবে। তখন আমার হাতে থাকা গামলা আর রান্না করার বড় চামচ দিয়ে কুমিরের মাথায় আঘাত করে পেছন দিকে সরে আসি। কুমিরটি ডুব দেয়। কিন্তু বিস্ময়করভাবে সে আবার আমাকে আক্রমণ করে কামড়ে ধরে টেনে পানিতে নিয়ে যায়। আমিও ছাড়ার পাত্রী নই। বড় চামচ দিয়ে কুমিরের মাথায় ও চোখে আঘাত করতে থাকি। কুমিরের পেটের মধ্যে চলে যাচ্ছি, এ ব্যাপারে আমি মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু আমার আঘাতে আহত কুমিরটি আমাকে ধীরে ধীরে ছেড়ে দেয়।
জানা গেছে, একটি জাতীয় উদ্যানের পাশে ওই ঘটনা ঘটে। আর ওই কুমিরটি ছিল উদ্যানেরই। প্রাদেশিক বন বিভাগের কর্মকর্তা বিমল প্রসন্ন আচার্য বলেছেন, ওই গৃহবধূর চিকিৎসা খরচ বন বিভাগ বহন করছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এজে
নিউজবাংলাদেশ.কম








