৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সাতক্ষীরা যুবলীগের কমিটি!
									যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান।
২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি হয়। ৩১ সদস্যের ওই কমিটিতে আব্দুল মান্নানকে আহ্বায়ক ও জহিরুল ইসলাম নান্টাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। বাকিরা সকলে সদস্য।
এই কমিটি অনুমোদনের জন্য ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন সদ্য বহিষ্কৃত যুবলীগের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিস। ওই টাকা যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম নান্টা এসব কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “কমিটি অনুমোদনের সময় আমাদের কাছে যুবলীগ চেয়ারম্যানের কথা বলে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরবর্তীতে আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান ও আমি একত্রে ৫ লাখ টাকা দেই। টাকাটি কেন্দ্রীয় যুবলীগের দফতর সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিসের হাতেই দেয়া হয়।”
যুবলীগের এই নেতা আরও বলেন, “যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ক্যাশিয়ার আনিসুর রহমান। মূলত টাকাটা যুবলীগ চেয়ারম্যানকে দেয়া হবে বলেই তিনি নিয়েছিলেন। এছাড়া সারাদেশেই যুবলীগের টাকা-পয়সা লেনদেন করেন দফতর সম্পাদক আনিস।”
বিষয়টি যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী জানতেন কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তিনি (যুবলীগ চেয়ারম্যান) না জানলে কি এভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন?”
৫ লাখ টাকা কবে দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, কমিটি অনুমোদনের দুই মাস আগে টাকাটা দেয়া হয়।
জহিরুল ইসলাম নান্টা আরও বলেন, “৯০ দিনের জন্য করা সাতক্ষীরা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি পাঁচ বছর অতিবাহিত করলেও বার বার তাগিদ দিয়েও সম্মেলন করা যায়নি। কেননা যুবলীগ চেয়ারম্যান আহ্বায়ক আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নেন। সে কারণেই তাকে টিকিয়ে রাখতে বছরের পর বছর সম্মেলন করেনি।”
এসব বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাওয়া মাত্রই তিনি সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং গালিগালাজ শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, আজ শুক্রবার সংগঠনের পরিচয়ে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অপরাধে যুবলীগের দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধন্ত নেয়া হয়েছে। যুবলীগের কার্যালয়ে সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি








