News Bangladesh

ধর্ম ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:১৮, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যে আমল সর্বাধিক মানুষকে জান্নাতে নেবে

যে আমল সর্বাধিক মানুষকে জান্নাতে নেবে

প্রতীকী ছবি

ইসলামে ব্যক্তির সুন্দর আচরণ ও নেক চরিত্রকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নবী মুহাম্মদ (সা.) মুসলমানদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তিকে সেই ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যে মানুষের সঙ্গে উত্তম আচরণ করে।

হাদিসে বর্ণিত দিকসমূহ: 
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবিজি (সা.) বলেছেন: “আপনাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি, যে মানুষের সাথে আচরণের দিক দিয়ে উত্তম।” (সহিহ বুখারি: ৩৫৫৯, সহিহ মুসলিম: ২৩২১)

আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, মুমিন ব্যক্তি তার ভালো আচরণের মাধ্যমে রোজা ও তাহাজ্জুদগুজারীর সমান মর্যাদা অর্জন করতে পারে। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৯৮)

পরিবার ও স্ত্রীর প্রতি সদ্ব্যবহারকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, উত্তম চরিত্রধারী ব্যক্তি পূর্ণ ঈমানের অধিকারী। (সুনানে তিরমিজি: ১১৬২, ২৬১২)

উত্তম আচরণের পুরস্কার: 
নবিজি (সা.) বলেছেন, উত্তম চরিত্রধারী মানুষ জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে থাকবে।

বিতর্ক এড়িয়ে চলা, মিথ্যা না বলা ও সুন্দর চরিত্র ধারণ করাও জান্নাতের বিশেষ ঘরের নিশ্চয়তা দেয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮০২, তিরমিজি: ২০০৪)

আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের হজ প্রাথমিক নিবন্ধনে সরকারের জরুরি বার্তা

মানুষের সঙ্গে আচরণের নীতি:
আব্দুর রহমান ইবনে আবদে রাব্বিল কা’বা থেকে বর্ণিত, নবিজি (সা.) বলেছেন: “আপনি যেভাবে অন্যদের সাথে আচরণ করতে চান, সেইভাবেই অন্যের সঙ্গে আচরণ করুন।” (সহিহ মুসলিম: ১৮৪৪)

এই হাদিসগুলো থেকে বোঝা যায়, ভালো চরিত্র ও উত্তম আচরণ শুধুমাত্র সামাজিক সম্পর্ককে উন্নত করে না, বরং পূর্ণ ঈমান ও জান্নাতের পথও প্রশস্ত করে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়