News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ২৩ আগস্ট ২০২৫

পিআর পদ্ধতি কর্তৃত্ববাদ বাড়াবে: রিজভী

পিআর পদ্ধতি কর্তৃত্ববাদ বাড়াবে: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় ‘পিআর পদ্ধতি’ বা সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি চালু হলে জনগণের হাতে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতা থাকবে না, বরং দলগুলো আরও বেশি কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠবে—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, দেশের মানুষ এই পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নয় এবং কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন বিলম্বিত করতে এই পদ্ধতি চালুর কথা বলছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাড় ময়দানে জেলা বিএনপির সদস্য নবায়ন এবং প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

রিজভী বলেন, জনগণ কোনোদিন পিআর পদ্ধতির অভিজ্ঞতা পায়নি। হঠাৎ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলছে। কিন্তু এতে ভোটাররা আর সরাসরি প্রার্থী বাছাই করতে পারবেন না, বরং কেবল দলীয় প্রতীকে ভোট দিতে হবে। 

তার ভাষ্য, এভাবে নির্বাচন হলে জনগণের হাতে ক্ষমতা কমে যাবে এবং দলীয় কর্তৃত্ব বেড়ে যাবে।

তিনি অভিযোগ করেন, সংস্কারের নামে ও পিআর ব্যবস্থার কথা বলে কিছু দল নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। 

বিএনপি এ কৌশল বুঝতে পেরেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল এবং বিলম্বিত নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না।

তিনি অভিযোগ করেন, কিছু দল এই পিআর পদ্ধতি ও নির্বাচন সংস্কারের কথা বলে প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাইছে, যার উদ্দেশ্য বিএনপি বুঝতে পেরেছে।

আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট শোক জানানো সেলিব্রেটিদের নিয়ে যা বললেন রিজভী

নতুন সদস্য সংগ্রহের কর্মসূচিতে রিজভী দলের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা নিয়েও কথা বলেন। 

বক্তৃতায় তিনি দলের সদস্যপদ নীতিমালা সম্পর্কেও বার্তা দেন। 

রিজভীর ভাষায়, শিক্ষিত, পরিশ্রমী ও ভদ্র মানুষই বিএনপির সদস্য হতে পারবে। চাঁদাবাজ বা দখলবাজদের সদস্যপদ দেওয়া হবে না। অতীতে যারা গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করেছিল, তারাও বিএনপির অংশ হতে পারবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি এমন মানুষকে সদস্য হিসেবে নেবে, যারা সমাজের গুণীজন এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের সমালোচনা করে তিনি অভিযোগ করেন, দেশের স্বাধীনতার মূল্যবান ত্যাগকে ধ্বংস করা হয়েছে এবং জনগণের উপর সহিংস দমননীতি চালানো হয়েছে। তার মন্তব্যে অতিরঞ্জিত রূপকের ব্যবহার ছিল, যেখানে তিনি সেই সময়কে মানব ইতিহাসের প্রাচীন হিংস্রতার সঙ্গে তুলনা করেন।

তিনি দাবি করেন, দেশের মানুষ এই রক্তপিপাসু সরকারকে পরাজিত করেছে এবং এখন নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে।

জেলা বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের সভাপতিত্বে এই কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক খোকন, সহ-সভাপতি এবিএম মোমিনুল হক, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।

অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেন। পরে প্রধান অতিথি নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের ফরম বিতরণ করেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়