ইনিংস ব্যবধানে হারের আগে মহারাজের লড়াই

পোর্ট এলিজাবেথে ইনিংস হার এড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় টেস্টে ইনিংস ও ৫৩ রানে জিতে ২-১ এ এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। আগামী ২৪ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া শেষ টেস্ট হারলেও সিরিজ ড্র করবে সফরকারীরা। ২০১১ সালের সিডনি টেস্টের পর বিদেশে এটাই প্রথম ইনিংস ব্যবধানে জয় ইংল্যান্ডের।
বিদায়ী সিরিজে খেলতে নামা ফিল্যান্ডার আজ রান করতে পারেননি। কিন্তু একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে যান মহারাজ। ব্রডের জায়গায় বল হাতে নিয়েই সাফল্য পেয়েছেন আরেক পেসার মার্ক উড, ফিরিয়ে দিয়েছেন কাগিসো রাবাদাকে। কিছুক্ষণ পর ডমিনিক বেসের অফব্রেকে আইনরিখ নর্কিয়া বোল্ড হলে স্কোর দাঁড়ায় ১৩৮/৯।
এরপর শুরু মহারাজ আর প্যাটারসনের লড়াই। অনেক চেষ্টা করেও জুটিটা ভাঙতে পারছিল না ইংল্যান্ড। আগের দিন ৪ উইকেট নেওয়া জো রুট টানা ১০ ওভার করে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি নতুন বলেও চেষ্টা করেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। কিন্তু টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেট তো আসেইনি, উল্টো মহারাজের তাণ্ডব।
কিন্তু দিনের প্রথম সেশনটা কাটিয়ে দিতে পারেননি। লাঞ্চের মিনিট দশেক আগে উডের বল মিড অনে ঠেলে রান নিতে চেয়েছিলেন মহারাজ। তবে অন্যপ্রান্তে পৌঁছানোর আগেই স্যাম কারেনের সরাসরি থ্রো ভেঙে দিয়েছে উইকেট। দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি করেও মহারাজকে ফিরতে হয়েছে ব্যর্থ মনোরথে। ১০৬ বলে ৭১ রানের ইনিংসটা সাজানো ১০ চার ও ৩ ছক্কায়। অভিষেকে ১১ নম্বরে নেমে ৩৯ রানে অপরাজিত থেকেও প্যাটারসন তখন হতাশায় স্তব্ধ।
প্রথম টেস্ট হেরে গেলেও টানা দুই জয়ে ইংল্যান্ডের সামনে সিরিজ জেতার হাতছানি। দলের পারফরম্যান্সে রুট দারুণ খুশি। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট কীভাবে খেলতে চাই এই ম্যাচ তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়েই আমরা জয়ের পথে এগিয়ে গিয়েছি।’
রুটের ঠিক বিপরীত অবস্থা ফাফ ডু প্লেসির। ব্যাটে রান নেই, দলের অবস্থা শোচনীয়। অবসরের গুঞ্জন শোনা গেলেও সেটা উড়িয়ে দিয়ে প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেছেন, ‘অবসরের গুঞ্জন আমিও শুনেছি। তবে একটা কথা পরিষ্কার বলতে চাই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে সাগ্রহে তাকিয়ে আছি। এই সিরিজে পারফরম্যান্সের কথা বিবেচনা করলে বলবো, হ্যাঁ, আমি আর আমার দল চাপের মধ্যে আছি। তবে আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইংল্যান্ড: প্রথম ইনিংসে নয় উইকেটে ৪৯৯ রান করেন। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা: প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২০৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা সংগ্রহ করে ২৩৭ রান। ফলাফল: ইংল্যান্ড ৫৩ রানে জয়।
নিউজবাংলাদেশ/এসএস/পিআর