News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৪৭, ৩১ অক্টোবর ২০১৯
আপডেট: ০৮:১৮, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মুক্তির নির্দেশ

১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মুক্তির নির্দেশ

ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা নিয়ে যশোর ও টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

স্বরাষ্ট্র, আইন, জনপ্রশাসন, সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব, র‌্যাবের মহাপরিচালক, টঙ্গী ও যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম, র‌্যাব-৩ টিকাটুলীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান, র‌্যাব-৪ মিরপুর-১ এর আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদসহ বিবাদিদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আর ১৩ থেকে ১৮ বয়সী শিশুদের দেয়া হয়েছে ছয় মাসের জামিন। সংশ্লিষ্ট শিশু আদালতে সন্তুষ্টি সাপেক্ষে তাদেরকেও মুক্তি দিতে বলেছে উচ্চ আদালত।  

ভ্রাম্যমাণ আদালত যেসব মামলায় শিশুদের দণ্ড দিয়েছে, তার প্রতিটি নথি আলাদাভাবে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে হাই কোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার একটি জাতয়ি দৈনিকে প্রকাশিত ‘আইনে মানা, তবু ১২১ শিশুর দণ্ড’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি দেখে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাই কোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩ মে থেকে ১০ অগাস্ট পর‌্যন্ত র‌্যাবের ভ্রম্যমাণ আদালতে ১২১ শিশুকে দণ্ড দেয়া হয়েছে; যাদের রাখা হয়েছে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে।

এদের মধ্যে ১৭ বছর বয়সী আছে ২৮ জন। এছাড়া ২৬ জনের বয়স ১৬ বছর, ২০ জনের বয়স ১৫ বছর, ১৬ জনের বয়স ১৪ বছর, ১১ জনের বয়স ১২ বছর।

আর সাত জনের বয়স ১৩। বাকি ১২ জনের বয়স আট থেকে ১১ বছর। একজনের বয়স উল্লেখ নেই।

এছাড়া যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রেও ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত একটি শিশু আছে বলে জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে।

২০১৩ সালের শিশু আইনে বলা হয়েছে, ‘বিদ্যমান অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, অনুর্ধ্ব ১৮ (আঠার) বৎসর বয়স পর্যন্ত সকল ব্যক্তি শিশু হিসাবে গণ্য হইবে।’

আর ১৬ ধারায় বলা হয়েছে, (১) আইনের সহিত সংঘাত জড়িত শিশু কর্তৃক সংঘটিত যে কোনো অপরাধের বিচার করিবার জন্য, প্রত্যেক জেলা সদরে শিশু-আদালত নামে এক বা একাধিক আদালত থাকিবে।

প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে এনে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল হালিম ও ইসরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের দেয়া দণ্ড ও আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।   

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়