News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বেআইনি, অন্যায় নির্দেশনা দেব না: সিইসি

বেআইনি, অন্যায় নির্দেশনা দেব না: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো বেআইনি, অন্যায় নির্দেশনা দেব না। আপনারাও (কর্মকর্তারা) কোনো দলের পক্ষে কাজ করবেন না।

শনিবার নির্বাচন ভবনে মাঠপর্যায়ের নির্বাচনি কর্মকর্তাদের এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এ সব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমি পরিবারের প্রধানের জায়গায় থেকে দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশের মতো জায়গায় কাজ করা খুব কঠিন। আমরা অনেক দেখা- অদেখা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। অনেকগুলো দেখা যায়। অনেকগুলো দেখা যায় না। আমি পজিটিভ মানুষ। গ্লাসে আমি সব সময় অর্ধেক ভরা পানি দেখি।”

তিনি বলেন, “আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলছেন ঐতিহাসিক নির্বাচন করব। আমরা অনুরাগ, বিরাগের বশবর্তী না হয়ে, আইন মেনে কাজ করব। আমরা অন্যায় নির্দেশনা দেব না৷ বেআইনি নির্দেশনা, কারো পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেব না। সঠিক কাজটি সঠিকভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেব।”

‘জুলাই আন্দোলনের এক নম্বর কারণ পচা নির্বাচন’

নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য সিইসি নির্বাচনি কর্মকর্তাদের হাত তুলে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে শপথ করতে বলেন। কর্মকর্তারা হাত তুলে সে শপথ করেন।

সিইসি বলেন, “আপনারা কারও পক্ষে কাজ করবেন না৷ কোনো দলের পক্ষে কাজ করবেন না। একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচন হচ্ছে। বিশেষভাবে, বিশেষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই কাজ করতে হবে। আমরা আমাদের শপথ রক্ষা হবে আপনাদের ভূমিকার ওপর।”

বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন। এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মনির হোসেন এ সময় প্রবাসে দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার কার্যক্রমে ইসি কর্মকর্তাদের নিয়োগের দাবি জানান।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে মাঠ পর্যায়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়ার গুরুত্বও তুলেন তিনি।

বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মনির হোসেন বলেন, “এআই নির্ভর মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন বা ম্যালইনফরশেন সাধারণ একটি নির্দিষ্ট এইজ গ্রুপ জড়িত থাকে। বিশেষ করে স্কুলে, কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের নিয়ে আমরা ওয়ার্কশপ করতে পারি।”

“প্রশাসনিক শৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পদের আপগ্রেডেশন প্রয়োজন। কেনন, একজন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ যদি অন্যান্য দপ্তরের চেয়ে পদমর্যাদায় কম হয় তাহলে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়” বলেন তিনি।

মনির বলেন, “নির্বাচন কমিশনারদের পদপর্যাদা আরও উন্নীত করা প্রয়োজন। এতে মন্ত্রী পর্যায়ের সঙ্গে ইসির যোগাযোগ আরও সহজ হবে। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার পদে ইসি কর্মকর্তাদের নিয়োগ। আচরণ বিধি প্রতিপালনে ইসি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিলে আচরণ বিধি প্রতিপালন আরও সহজ হবে।”

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আশফাকুর রহমান বলেন, “কমিশন যদি মেরুদণ্ড সোজা দাঁড়ায় আমরা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও মেরুদণ্ড সোজা হয়ে দাঁড়াব। আমাদের সংকট আস্থার সংকট। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে হারানো আস্থাকে পুনরুদ্ধার করতে চাই। গত তিনটি নির্বাচনের মতো নির্বাচন করতে চাই না।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়