News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আপডেট: ১৫:৩৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডিএসসিসির তেল খরচে কোটি টাকার অনিয়ম, দুদকের অভিযান

ডিএসসিসির তেল খরচে কোটি টাকার অনিয়ম, দুদকের অভিযান

ফাইল ছবি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে জ্বালানি খাতে কোটি টাকার অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

রবিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এই অভিযান শুরু করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, নগর ভবন ৪০ দিন বন্ধ, তবু কোটি টাকার তেল খরচ, এই তেল গেল কোথায়?—এই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের অংশ হিসেবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ডিএসসিসির কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত সরকারি গাড়ি বাস্তবে ব্যবহার না হলেও কাগজপত্রে প্রতিদিন গড়ে ১৪–১৫ লিটার তেলের খরচ দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। এভাবে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে বিএনপির নেতা-কর্মী ও কিছু কর্মচারীর আন্দোলনের কারণে চলতি বছরের ১৪ মে থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত টানা ৪০ দিন নগর ভবনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এই সময়ে কর্মকর্তারা অফিসে আসেননি, কোনো কার্যক্রমও হয়নি। অথচ বরাদ্দকৃত গাড়িগুলোর তেল খরচ দেখানো হয়েছে স্বাভাবিক সময়ের মতোই।

আরও পড়ুন: যাত্রাবিরতিতে ছাগল-কাণ্ডের মতিউরের ‘গোপন বৈঠক’, ১১ পুলিশ বরখাস্ত

ডিএসসিসির হিসাবে, প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে প্রায় ৫ কোটি টাকা জ্বালানি খাতে ব্যয় করে। শুধু মে ও জুন মাসে কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও তেলের খরচ দেখানো হয়েছে আগের মতোই। অর্থাৎ, কার্যত কোনো কাজ না হওয়া সত্ত্বেও তেল খরচ দেখানো হয়েছে কয়েক কোটি টাকা।

বর্তমানে ডিএসসিসিতে কর্মকর্তাদের জন্য ৯১টি গাড়ি, ১০১টি মোটরসাইকেল এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য কাজে নিয়োজিত আরও ৪১৮টি গাড়ি রয়েছে। সব মিলিয়ে ৬১০টি যানবাহন ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব যানবাহনের পেছনে শুধু জ্বালানি খাতেই বছরে ৬০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই খরচের বড় একটি অংশ কাগজে-কলমে দেখানো হয়।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম নগর ভবনে গিয়ে নথিপত্র ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করছে। 

কমিশন জানিয়েছে, অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি প্রমাণ যাচাই করা হবে এবং অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়