যমুনায় উপাচার্য, রাস্তায় জবি শিক্ষার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির বিষয়ে আলোচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য় প্রবেশ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
তার সঙ্গে রয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উপস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে অংশ নিলে রাজধানীর কাকরাইল মোড় এলাকায় পুলিশ বাধা দেয় এবং আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এতে অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাংবাদিক আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি:
১. আবাসন সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু।
২. প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন।
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন ও বাস্তবায়ন।
আরও পড়ুন: পুলিশের বাধায় কাকরাইলে অবস্থান জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের
লংমার্চটি সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে যাত্রা শুরু করে। কাকরাইল মোড়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রইছ উদ্দিন, সাংবাদিক মাহাতাব লিমন, মেহেদী হাসানসহ অনেকেই গুরুতর আহত হন।
আহতদের জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
উপাচার্য রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক। আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছাতে চাই।
শিক্ষার্থীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না এবং আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
আন্দোলনকারী সাংবাদিক মাহাতাব লিমন বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তা ৭০’র দশকের দমননীতিকেও হার মানায়। নারী শিক্ষার্থীরাও রেহাই পায়নি। আমরা এর বিচার দাবি করছি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকটসহ বাজেট ও অবকাঠামোগত ঘাটতি দীর্ঘদিন ধরেই প্রকট। রাজধানীর কেন্দ্রে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হন শিক্ষার্থীরা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








