News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:১০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজায় একদিনে নিহত ৯৮, প্রাণহানি ছাড়াল ৬৫ হাজার

গাজায় একদিনে নিহত ৯৮, প্রাণহানি ছাড়াল ৬৫ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান ও স্থল হামলায় একদিনে আরও ৯৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৮৫ জন আহত হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলুর।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজার হাসপাতালগুলোতে ৯৮ জনের মরদেহ এবং ৩৮৫ জন আহতকে আনা হয়েছে। তবে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন এবং পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও লোকবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে মোট নিহতের সংখ্যা ৬৫,০৬২ জনে পৌঁছেছে। এ সময় একই সময়ে আহত হয়েছে ১,৬৫,৬৯৭ জন।

২০২৩ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, ১৮ মার্চ ইসরায়েল তা ভেঙে নতুন করে অভিযান শুরু করে। ওই পাঁচ মাসে গাজায় ১২,৫১১ জন নিহত এবং ৫৩,৬৫৬ জন আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি বোমায় হামলায় ফিলিস্থিনে ১০৬ জনের প্রাণহানি

গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সংগ্রহে থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপরও ইসরায়েলি বাহিনী নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত এই হামলায় ২,৫০৪ জন নিহত এবং ১৮,৩৪৮ জন আহত হয়েছেন। বুধবারও খাদ্য ও ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে ৭ জন নিহত এবং ৮৭ জন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি বাহিনী ২ মার্চ থেকে গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করে দিয়েছে। এতে গাজায় তীব্র খাদ্যাভাব ও অপুষ্টি দেখা দিয়েছে। বুধবারও ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত কারণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত প্রায় দুই বছরে ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত কারণে ৪৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১৪৬ জন শিশু।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের যোদ্ধারা আকস্মিক হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের মধ্যে ১,২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এর জবাবে ইসরায়েল ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অভিযানের পর ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। এখনও জিম্মি থাকা অন্তত ১৫–২০ জনকে আইডিএফ উদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছে।

জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বহুবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু বলছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করাই অভিযানের লক্ষ্য, যা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়