নেপালে সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত
নেপালের প্রেসিডেন্ট সুশীলা কার্কির সুপারিশের ভিত্তিতে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। আগামী বছরের ৫ মার্চ নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে সংসদ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে একই দিন রাত ৯টায় রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেলের উপস্থিতিতে সুশীলা কার্কি শপথ নেন।
দুর্নীতি-বিরোধী সহিংস আন্দোলনের কারণে প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলি পদত্যাগের পর অস্থির নেপালের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি অফিস জানায়, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে কার্কির নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। আন্দোলনকারীরাই তাকে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তাব করেন।
সপ্তাহজুড়ে চলা বিক্ষোভে অন্তত ৫১ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনকে ‘জেন জি আন্দোলন’ বলা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত থেকেই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। যদিও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর সহিংসতা কিছুটা কমে যায় এবং প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগের পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় নিহত ২৩
কিছু আন্দোলনকারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কুলমান ঘিসিংকে চাইতেন, যিনি নেপালের বিদ্যুৎ সংকট সমাধান করে জনপ্রিয় হয়েছেন। প্রথমে রাজধানী কাঠমান্ডুর নিরপেক্ষ মেয়র ও জনপ্রিয় র্যাপার বলেন্দ্র শাহের নামও আলোচনায় আসে, কিন্তু ৩৫ বছর বয়সী শাহ আগ্রহী ছিলেন না এবং প্রকাশ্যে কার্কির পক্ষে সমর্থন দেন।
সুশীলা কার্কি ২০১৬–২০১৭ সালে নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন। সততা ও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের কারণে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। বিচারপতি থাকাকালীন ক্ষমতাসীন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেন এবং সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতেও পিছপা হননি। তবে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্যে তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা জনমতের চাপের কারণে স্থগিত হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি