নেই সরকারি সহযোগিতা তবুও জৈন্তাপুরে সিমের বাম্পার ফলন
ছবি: নিউজবাংলাদেশ
এ বছর আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় মৌসুমী সবজি সিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে সোনালী হাসি। এখনো সিম ক্ষেতের পরিচর্যায় কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে তাদের অভিযোগ, দিনের পর দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সবজি চাষ করলেও নেই কোনো সরকারি সহযোগিতা।
ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ফলন উঠতে শুরু করবে বলে মনে করছেন চাষিরা। তবে অক্টোবর মাসের টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর জৈস্তাপুর উপজেলায় প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে বরবটি ও সিমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেযোগ্য সিম চাষ হয়েছে উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে।
চলতি বছরে অতিবৃষ্টি না থাকায় সিম ক্ষেতে তেমন একটা পোকামাকড়ের আক্রমণ ছিল না। ফলে এবারের ফলন অন্য বছরের ন্যায় অধিক পরিমাণে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু অতি উৎসাহী কৃষকরা অধিক ফলনের আশায় অপরিকল্পিতভাবে সার ও কীটনাশক ব্যবহারে সিমের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার আশংকাও রয়েছে।
সরেজমিন চাষিদের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সিমের চাষ হচ্ছে, অথচ সরকারিভাবে তামাদের কোন রকম সুযোগ সুবিধা বা সহযোগিতা করা হয় না। সার এবং কীটনাশক বাজার থেকে ক্রয় করলেও তার ব্যবহার সম্পর্কে অনেক চাষিদের নেই কোন ধারণা। ফলে ভুল প্রয়োগের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
কৃষি অফিসের প্রতিনিধিরা মাঝে মধ্যে এসে ছবি তুলে চলে যান। অথচ একজন ক ব্লক সুপারভাইজার নিয়মিত সিমের বাগান পরিদর্শন, পর্যবেক্ষণ এবং পরামর্শ দেওয়ার কথা। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন দিলদার বলেন, আমি জৈন্তাপুর উপজেলায় মাত্র কয়েক দিন হলো এসেছি। এই উপজেলা সম্পর্কে আমার এখনো কোন ধারণা নেই। তবে শুনেছি এই উপজেলায় যতেষ্ট পরিমাণে সিমের চাষ হয়। এখন পর্যন্ত সিম চাষ বা চাষিদের সাথে আমার কোন যোগাযোগ হয়নি।
হিলিতে ১ হাজার ৪০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ
জৈন্তাপুর উপজেলার ১নং নিজপাট ইউনিয়নের কামরাঙ্গীখেল, পাখিবিল, আড়ছাউলী, হর্ণি, বাইরাখেল, নয়াগ্রাম, রূপচেং, লালাখাল, গৌরী, দিগারাইল লক্ষী প্রসাদসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রতি বছর সিম চাষ হয়। উৎপাদিত সিম স্থানীয় চাহিদা পুরনের পাশাপাশি সিলেট শহরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানী হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক ভাবে সিম চাষ করে এই অঞ্চলের বহু মানুষের ভাগ্য বদল হয়েছে। স্বল্প পুজি বিনিয়োগ হলেও অধিক পরিশ্রমের মাধ্যমে সফল হতে হয় চাষিদেরকে।
সিম চাষি মাহমুদ আলী বলেছেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিম বাগানই আমাদের সবচেয়ে আপন। পোকামাকড় দূর করতে ব্যবহৃত কীটনাশক আমাদের শারীরিক অনেক ক্ষতির কারণও হয়ে দাঁড়ায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোন দিন সরকারিভাবে ১ কেজি সারও পাইনি। আমার আশপাশে সরকারি কোন প্রতিনিধি সিম বাগান দেখতেও আসেনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি








