News Bangladesh

জেলা সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:২৮, ৩০ মার্চ ২০২৫
আপডেট: ১০:৩১, ৩০ মার্চ ২০২৫

আজ চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে ঈদ

আজ চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে ঈদ

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে আজ রবিবার (৩০ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে  এ তথ্য নিশ্চিত করেন  দরবার শরীফের পীরজাদা মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।

তিনি বলেন, 'শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকি। রবিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'

ঈদের প্রথম জামায়াত দরবার শরীফ মাঠে সকাল ৯টায় অনষ্ঠিত হবে। এই জামায়াতে ঈমামিত করবেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।

এরপর দ্বিতীয় জামায়াত সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।

আরও পড়ুন: আজ চাঁদ উঠলে সৌদি আরবে রবিবার ঈদ

দরবার শরীফের পীরজাদা পীর ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের পীর সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন।

এ ছাড়াও প্রয়াত পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারী মুসল্লীরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সাথে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।

অপরদিকে, সকাল ১০টায় ফরিদগঞ্জের টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আকরাম হোসেন।

যেসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে: হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া,  নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলাসহ অর্ধশত গ্রাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন হয়ে আসছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়