News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

শাপলা তালিকাভুক্ত না করার উত্তর কমিশনকে দিতে হবে: এনসিপি নেতা

শাপলা তালিকাভুক্ত না করার উত্তর কমিশনকে দিতে হবে: এনসিপি নেতা

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনকে আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম কোন আইন বা বিধির কারণে তারা ‘শাপলা’ প্রতীকটিকে তালিকাভুক্ত করতে পারছেন না। এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তারা ‘শাপলা কলি’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কেন ‘শাপলা’ প্রতীকটি তালিকাভুক্ত করা গেল না, এর উত্তর কমিশনকে দিতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫টায় নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম কোন আইন বা বিধির কারণে তারা ‘শাপলা’ প্রতীকটিকে তালিকাভুক্ত করতে পারছেন না। এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তারা ‘শাপলা কলি’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কেন ‘শাপলা’ প্রতীকটি তালিকাভুক্ত করা গেল না, এর উত্তর কমিশনকে দিতে হবে। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিজের ইচ্ছেমতো নিয়ম বানিয়ে বা বদলে কাজ করতে পারে না।

তিনি লিখেছেন, যদি তারা জাতীয় প্রতীক সংরক্ষণের যুক্তিতে ‘শাপলা’ তালিকাভুক্ত না করেন, তবে একই যুক্তি ‘ধানের শীষ’, ‘তারকা’ বা ‘পাটপাতা’ সব উপাদানের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। আর যদি তারা জাতীয় প্রতীক সংরক্ষণকে নিজেদের দায়িত্ব না মনে করেন, তাহলে ‘শাপলা’ প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করতে বাধা কোথায়?

খালেদ সাইফুল্লাহ আরও লিখেছেন, নির্বাচন কমিশনের কোনো এক অফিসারের ইচ্ছায় আমাদের প্রতীক নির্ধারণ হবে না। আমাদের প্রতীক নির্ধারিত হবে আমাদের দলের সদস্যদের ইচ্ছায় এবং আইনের সীমার মধ্যে। আইন সবার জন্য সমান হতে হবে। আইন যদি বেছে বেছে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তা আর আইন থাকে না, অন্যায়ের হাতিয়ার হয়ে যায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সই করা এ-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আরও পড়ুন: ইসির প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলো ‘শাপলা কলি’

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৯৭২ সালের আর্টিক্যাল ৯৪-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, ‘নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮’-এর নিম্নরূপ অধিকতর সংশোধন করিল, উপরি-উক্ত বিধিমালার বিধি ৯-এর উপ-বিধি (১)-এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-বিধি (১) প্রতিস্থাপিত হইবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই বিধির অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে, অনুচ্ছেদ ২০-এর দফা (১)-এর অধীন, স্থগিত করা প্রতীক ব্যতীত, নিম্নবর্ণিত প্রতীকসমূহ হইতে, প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, যে কোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করা যাইবে।

প্রজ্ঞাপনে প্রদত্ত প্রতীকগুলো হলো—আনারস, গাভি, টেলিভিশন, বই, রেল ইঞ্জিন, আম, গামছা, ডাব, বক, রিকশা, আলমিরা, গোলাপ ফুল, ড্রেসিং টেবিল, বাঘ, লিচু, ঈগল, ঘণ্টা, ঢেঁকি, বটগাছ, লাঙল, উট, ঘুড়ি, তারা, বাইসাইকেল, শাপলা কলি, উদীয়মান সূর্য, ঘোড়া, তালা, বালতি, সোনালি আঁশ, একতারা, চাকা, থালা, বেবি টেক্সি, সেলাই মেশিন, কাঁচি, চাবি, দাঁড়িপাল্লা, বৈদ্যুতিক পাখা, সোফা, কবুতর, চিরুনি, দালান, বৈদ্যুতিক বাল্ব, সিঁড়ি, কলম, চিংড়ি, দেয়ালঘড়ি, মই, সিংহ, কলস, চেয়ার, দোতলা বাস, মগ, সূর্যমুখী, কলার ছড়ি, কাঁঠাল, চশমা, দোয়াত-কলম, মাইক, হরিণ, কাপ-পিরিচ, ছড়ি, দোলনা, মোটরগাড়ি (কার), হাত (পাঞ্জা), কাস্তে, জগ, নোঙর, ছাতা, ধানের শীষ, মশাল, হাতঘড়ি, কেটলি, জাহাজ, নৌকা (স্থগিত), ময়ূর, হাতপাখা, হাঁস, কুমির, টর্চলাইট, পাগড়ি, মাছ, হাতি, কম্পিউটার, টিউবওয়েল, পানির ট্যাপ, মাথাল, হাতুড়ি, কুড়াল, টেবিল, পালকি, মিনার, হারিকেন, কুলা, টেবিল, প্রজাপতি, মোমবাতি, হ্যান্ডশেক, কুঁড়েঘর, টেবিলঘড়ি, ফলের ঝুড়ি, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন, হুঁকা, কোদাল, খেজুরগাছ, ট্রাক, ফুটবল, মোড়া, হেলিকপ্টার, ট্রাক্টর, ফুলকপি ও মোরগ।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়