ধর্ষণের পর হত্যা: ফরিদপুরে ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরে শ্যালিকাকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দুলাভাইসহ চারজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই নারীর দুলাভাই ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারী (৩৮), একই গ্রামের কামরুল মৃধা (৩৮), আলী বেপারী (৪৩) ও চরদড়ি কৃষ্ণপুর গ্রামের বক্কার বেপারী (৩৮)।
রায় ঘোষণার সময় জাহাঙ্গীর ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশের পাহাড়ায় তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালত ওই চার আসামিকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দুটি ধারায় রায় দেয়। হত্যার ঘটনায় আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন সশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়।
আমৃত্য কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। অপরদিকে ধর্ষণের দায়ে ওই চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ করে টাকা জরিমানা করা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রাত ১টার দিকে জাহাঙ্গীর ব্যাপারী তার দলবল নিয়ে এসে শ্যালিকার বাড়িতে গিয়ে বলে তোমার বোন এসেছে দরজা খোল। শ্যালিকা দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে জাহাঙ্গীরসহ অন্য আসামিরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: ‘৫ আগস্টে পুলিশ মেরে ঝুলিয়েছি’
এ ঘটনায় ওই নারীর মা বাদী হয়ে ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট দুই নম্বর আমলি আদালতে জাহাঙ্গীরসহ সাত জনকে আসামি করে দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. আবুল কালম জাহাঙ্গীরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এ মামলার আরও দুই আসামি মমতাজ বেগম (৬৩) ও আমৃত্য কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আলী বেপারির বাবা আবুল কালাম বেপারিকে (৬৮) এ মামলার আলামত নষ্ট করার দায়ে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়া তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানাও দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারদণ্ড ভোগ করতে হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি








