শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান, মনোনয়ন চূড়ান্তে প্রস্তুত বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, দেশে ফিরে তিনি শুধু বিএনপির নয়, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দেবেন।
পাশাপাশি ডা. জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দল শিগগিরই মনোনয়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষ্যে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডি-ফ্যাব)-এর নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ডা. জাহিদ হোসেন। শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফেরাত ও দেশের সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিএনপি শিগগিরই দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে। জনগণের কাছে সমাদৃত এবং দলীয় জরিপের ভিত্তিতে যারা এগিয়ে থাকবেন, তারা আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পাবেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে গত ১৮ মাস ধরে দলের নির্বাচনী কার্যক্রম চালু রয়েছে। দেশের সব অঞ্চলে নেতাকর্মীরা ব্যস্ত রয়েছেন, এবং স্থানীয় জনগণ ও জরিপের ভিত্তিতেই প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। দলের পক্ষ থেকে এখনো কাউকে সবুজ বা লাল সংকেত দেয়া হয়নি।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা আসনের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি। তাই স্থানীয় জনপ্রিয়তা এবং জনগণের ভালোবাসার ভিত্তিতেই প্রার্থীদের চূড়ান্ত করা হবে।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। দেশে ফিরে তিনি শুধু বিএনপির নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শেষ লগ্নেও নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: প্রহসনের মাধ্যমে স্বৈরাচার পুনর্বাসিত হচ্ছে: ডা. জাহিদ
তিনি বিস্তারিত বলেন, ২০০৭–০৮ সালের সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছিল তারেক রহমানকে। মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালে তিনি লন্ডনে চলে যান এবং তার পর থেকে সেখানেই পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করছেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশে ফেরেননি। এরপরও তিনি লন্ডন থেকেই দলের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সব মামলায় খালাস পেয়েছেন, তবে দেশে আসার নির্দিষ্ট তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
ডা. জাহিদ হোসেন নিউজ কভার করার সময় উল্লেখ করেন, নিউ ইয়র্কে বিএনপির মহাসচিবসহ রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলা, আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসার রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। এই দলের নেতারা কখনও জনগণের পক্ষে থাকেননি। তারা প্রতিহিংসার রাজনীতি ও স্বৈরাচারের দোসর। তবে শেষ বিচারে জনগণ জানে তাদের প্রতিহত করতে হয় এবং প্রত্যাখ্যান করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিল এবং থাকবে। দেশের মানুষ সচেতন থাকুক, সংবাদ কর্মীরা লক্ষ্য রাখুক—স্বৈরাচারের সাথে কারা সম্পৃক্ত তা পরিষ্কার।
ডা. জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীরা দেশের প্রতিটি অঞ্চলে তারেক রহমানের আহ্বান ও ৩১ দফা কর্মসূচি জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে।
তিনি বলেন, শিগগিরই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে, এবং দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। সোশ্যাল মিডিয়া ও পত্রিকায় যেসব স্পেকুলেটেড নিউজ এসেছে, সেগুলো ভিত্তিহীন।
ডি-ফ্যাব-এর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ডা. জাহিদ হোসেন অংশ নেন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায়, যা মাজার থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন ডি-ফ্যাবের আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ মিয়া, সদস্য সচিব নাজমুল হুদা এবং উপদেষ্টা আতিকুর রহমান রুমন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি