বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে: বিএনপি মহাসচিব

ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তবে একটি মহল বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে চাচ্ছে, যা প্রতিরোধ করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ফেব্রুয়ারিতেই ইলেকশন হবে। অবশ্যই ইলেকশন হবে। তবে জনগণের মধ্যে যে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে তা দূর করতে হবে। বিশ্বাস স্থাপন করেই সামনে এগোতে হবে।
তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠকের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসও নির্বাচনের ব্যাপারে দৃঢ়চিত্তে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তার মতে, রাজনৈতিক দলগুলো, সেনাবাহিনী ও প্রশাসন সবাই জানে নির্বাচন হবে। তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো কিছুই সহজভাবে ঘটে না; বরাবরের মতো এবারও নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন যে প্রবণতাটা খুব ডেঞ্জারাস, সেটা মব ভায়োলেন্স। কারও বিরুদ্ধে আক্রমণ করো, ওর বাড়ি ভাঙিয়ে দাও, ওর ফ্যাক্টরি পুড়িয়ে দাও—এটা খুব ভয়ানক ব্যাপার। আগে এ ধরনের ঘটনা এভাবে দেখা যায়নি। মনে হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে একটি পক্ষ এ কাজগুলো করছে। তারা বাংলাদেশের স্থায়িত্বে বিশ্বাস করে না, স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশ যেন শক্তভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে, সেটাই তারা চায়।
আরও পড়ুন: মিত্রদের জন্য আসন ছাড়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত বিএনপির
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, দুঃখজনকভাবে গত ১৫ বছরের রাজনৈতিক বিভাজন মানুষকে একে অপরের প্রতি অবিশ্বাসী করে তুলেছে। এর প্রভাব পড়েছে রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও। এখন সবচেয়ে জরুরি হলো মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা—প্রতিষ্ঠানের প্রতি, নেতার প্রতি, রাজনৈতিক দলের প্রতি এবং নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরি করা। এটাই এখন সবচেয়ে বড় কাজ।
তিনি আরও বলেন, দেশের মিডিয়া অনেক সময় কেবল নেগেটিভ দিক প্রচার করে, যা তার কাছে কষ্টদায়ক।
নির্বাচন নিয়ে এনসিপি ও জামায়াতের বিপরীত অবস্থান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দল সবসময় বার্গেইন করে। এটি কোনো অপরাধ নয়। আলোচনার মাধ্যমে অনেক কিছু অর্জন করা যায়। তবে কিছু দাবি পূরণ সহজ নয়। ইতিমধ্যেই অনেক আলোচনা হয়েছে এবং এখনো আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, যখন তার লিগ্যাল প্রবলেম দূর হবে এবং আমরা মনে করবো রাজনৈতিক প্রয়োজনে তার দেশে থাকা জরুরি, তখনই তিনি আসবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই আমাদের নেতার নিরাপত্তা দিতে। এখন ঝুঁকি বলতে যদি ফ্যাসিস্ট দল কোনো ষড়যন্ত্র করে সেটাই হতে পারে। তবে দেশে ফেরার ক্ষেত্রে তারেক রহমানের অন্য কোনো ঝুঁকি নেই।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি