News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
আপডেট: ০৭:৫৩, ১ মার্চ ২০২০

সরবরাহ নিশ্চিত করতেই পানি-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি: কাদের

সরবরাহ নিশ্চিত করতেই পানি-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি: কাদের

‘সরবরাহ নিশ্চিত করতেই’ পানি ও বিদ্যুতের দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর এবং উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “শুধু পাপিয়া নয়, অপকর্ম, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের সঙ্গে যারাই জড়িত তারা নজরদারিতে আছেন। এছাড়া পাপিয়াদের পিছনে যারা আছেন তারাও নজরদারির বাইরে নয়। টার্গেট পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

“দেশের যে কোনো প্রান্তে হোক অপকর্ম, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও মাদকের সঙ্গে দলের লোকজন যদি জড়িত থাকে সেও রেহাই পাবে না। তারা ইতোমধ্যে নজরদারিতে চলে এসেছেন। থেমে থেমে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া এই অপকর্মের পিছনে যারা কলকাঠি নাড়ছেন তারাও রেহাই পাবেন না” যোগ করেন কাদের।

বিএনপির বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, “বিএনপি কার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে? তারা বিক্ষোভ করছে আদালতের বিরুদ্ধে। এ বিক্ষোভ কোন রাজনৈতিক নেতাদের বা দলের বিরুদ্ধে নয়। আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়নি বলেই তারা এ কর্মসূচি পালন করছে। এটা আদালতের বিরুদ্ধে অঘোষিত একটা কর্মসূচি।”

বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধি-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতেই কিছুটা দাম বাড়ানো হয়েছে। কারণ সরকার বিদ্যুতে যেমন ভর্তুকি দিচ্ছে পানিতেও সেরকম ভর্তুকি দেয়া লাগছে। তবে বিদ্যুৎ এর ক্ষেত্রে কৃষকের ভর্তুকি খুব কম ধরা হয়েছে। মুজিববর্ষে আমরা শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই। প্রত্যেক ঘরে আমরা বিদ্যুতের আলো জ্বালাতে চাই। সামনে গরমের সিজন, লোকজন যেন কষ্ট না পায় সেজন্য আমরা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন করতে চাই । একটু কষ্ট হলেও জনগণ এর সুবিধা পাবে।

পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, “প্রায় এক হাজারের মতো চীনের অধিবাসী পদ্মা সেতুতে কাজ করে। এখান থেকে ১৫০ জন ছুটিতে দেশে গেছেন। যদি দুই মাসের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো উন্নতি না হয় তাহলে পদ্মা সেতুর কাজে সামান্য বিঘ্ন ঘটবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়