News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২২:১৮, ১৬ অক্টোবর ২০১৯
আপডেট: ০৯:৫৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

‘দেশের মানুষের উচিত হবে সরকারকে ঘাড় ধরে বের করে দেয়া’

‘দেশের মানুষের উচিত হবে সরকারকে ঘাড় ধরে বের করে দেয়া’

বুয়েটের ছাত্র আবরার স্মরণে ডাকা সমাবেশের অনুমতি না দিলে এ সরকারকে ঘাড় ধরে বের করে দেয়া উচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন। 

আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ২২ অক্টোবর জনসমাবেশ ডেকেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে ওই সমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়। 

বৈঠক শেষে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া কর্মসূচি ঘোষণা করেন। 

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, “সমাবেশের অনুমতি না দেয়া মানে সংবিধানের লংঘন। এটা করলে দেশের মানুষের উচিত হবে এ সরকারকে ঘাড় ধরে বের করে দেয়া।”

ড. কামাল হোসেন বলেন, “দেশের অবস্থা নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন, দেশের মানুষও উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি অনেক রকমের ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে আবরার হত্যার ঘটনা যেটা সবাই দেখেছে কীভাবে এটা ঘটানো হল। ইচ্ছাকৃতভাবে একজন মেধাবী নিরীহ ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে- এটা জঘন্য ব্যাপার।”

তিনি বলেন, “এই ধরনের যে সব ঘটনা ঘটেছে- তা আজকে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ঢাকায় আগামী ২২ তারিখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটা জনসভা করব। যেখানে আমাদের ফ্রন্টের সবাই আসবেন বিস্তারিত বক্তব্য রাখবেন।”

‘গত ১৩ অক্টোবর ফ্রন্টের ঢাকায় নাগরিক শোক র‌্যালি পুলিশ করতে দেয়নি। সে ক্ষেত্রে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভার অনুমতি আপনারা পাবেন কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, “আমাদের তো করে যেতেই হবে। পারমিশন দেবে, না দেবে- আমাদের করে যেতেই হবে। দেখা যাক।”

অনুমতি না পেলে কী করবেন- দ্বিতীয়বার একই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অবস্থা বুঝে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমাদের কাজ আমাদের করতেই হবে। তবে এটা জানা দরকার জনসভার অনুমতি না দেয়া মানে সরকার সংবিধানকে লঙ্ঘন করছে। সংবিধানে লেখা আছে- মৌলিক অধিকার আছে সভা-সমিতি করার, বক্তব্য রাখার। আর যদি এই ধরনের সংবিধান লঙ্ঘন করা শুরু করে আমি তো মনে করি, দেশের মানুষের উচিত তাদের (সরকার) ঘাড় ধরে বের করে দেয়া।” 

বৈঠকে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির আ স ম আবদুর রব, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক হোসেন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, জাহেদউর রহমান, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়