অনুসন্ধানে ব্যর্থরা অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করুন: দুদক চেয়ারম্যান

এখন থেকে যারা অনুসন্ধানের টাইম লাইন অনুসরণে ব্যর্থ হবেন, তাদের উচিত হবে অপশন দিয়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করা বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। একই সঙ্গে বলেন, টেলিফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অনেকের রূঢ় আচরণের তথ্য আমরা পাই, সেই ব্যাপারে সতর্ক হোন।
বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্তে আরও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে এক জরুরি সভায় দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
সভাটি কমিশনের সকল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক, প্রধান কার্যালয়ের সচিব, মহাপরিচালক ও পরিচালকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তে কোন প্রকার অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব, শৈথিল্য যা কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে কর্মকর্তাদের এমন কোন আচরণ কমিশন ন্যূনতম সহ্য করবে না।
প্রতিটি কর্মকর্তা আমাদের ঠিক ততক্ষণই প্রিয় থাকবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার দায়িত্ব সততা ও স্বচ্ছতার সাথে পালন করবেন। যারা এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবেন তারা কোন প্রকার অনুকম্পা পাবেন না। আমি বারবার আপনাদেরকে সতর্ক করি তারপরও যখন অভিযোগ আসে তখন ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ থাকে না।
অনুসন্ধানের টাইম লাইন নিয়ে অনেকবার কথা বলেছি উল্লেখ্য করে চেয়ারম্যান বলেন, এখন থেকে যারা টাইম লাইন অনুসরণে ব্যর্থ হবেন তাদের উচিত হবে অপশন দিয়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করা । কারণ এ সুযোগ দুদকের বিধিতে রয়েছে।
নথিতে কোয়ারি দিয়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত বিলম্ব করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দদুক চেয়ারম্যান বলেন, এখন থেকে পরিচালক বা মহাপরিচালক পর্যায়ে কোয়ারি দিয়ে নথি নীচে নামিয়ে দেয়া যাবে না। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোন কোয়ারি দেওয়া যাবে না। আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে মানুষের আস্থার প্রতীক বানাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কারো গাফিলতি বা স্বেচ্ছাচারিতার কাছে এ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হতে দেয়া হবে না।
সকল কর্মকর্তাদের মানুষের সাথে বিনয়ী আচরণে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, টেলিফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অনেকের রূড় আচরণের তথ্য আমরা পাই। সেই ব্যাপারে সতর্ক হোন। কমিশনার তদন্ত অসংখ্য মামলার নথি পর্যালোচনা করে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি উদঘাটন করেছেন তা দ্রুত সংশোধন করুন।
সভায় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, কমিশনের আইনি ম্যান্ডেট বাস্তবায়ন করা হবে। দুর্বীনিত আচরণ কাম্য নয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলে ক্ষমতার দম্ভ থাকে না।
দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম বলেন, যেসব নথি আমি পর্যালোচনা করেছি তাতে যেসব ত্রুটি পেয়েছি তা কাঙ্খিত নয়। আপনারা দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে এসব ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করা যেত।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/পিআর