ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৩, আক্রান্ত ৪১২

ফাইল ছবি
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৪১২ জন রোগী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজন পুরুষ এবং একজন নারী। আক্রান্তদের মধ্যে ২৯০ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগ থেকে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন মোট ১১৮ জন। তাদের মধ্যে ৬৭ জন পুরুষ এবং ৫১ জন নারী। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯ হাজার ৪৪ জন রোগী, যার মধ্যে ১৭,২১৪ জন পুরুষ এবং ১১,৮৩০ জন নারী।
শুধু আগস্ট মাসে এখন পর্যন্ত ৮,০৬৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ মাসে ডেঙ্গুতে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ১,৩০৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৩৪ জন এবং বাকি ৮৭৫ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে একজনে প্রাণহানি, হাসপাতালে ভর্তি ৪৩০
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে, এই মাসের নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা আগের মাসগুলোর তুলনায় কিছুটা বেশি। জুলাইয়ে ১০,৬৮৪ জন, জুনে ৫,৯৫১ জন, মে’তে ১,৭৭৩ জন, এপ্রিল-এ ৭০১ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, ফেব্রুয়ারি ৩৭৪ জন এবং জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
মৃত্যুর দিক থেকে দেখলে, জুলাইয়ে ৪১ জন, জুনে ১৯ জন, মে’তে ৩ জন, এপ্রিল-এ ৭ জন, ফেব্রুয়ারি ৩ জন এবং জানুয়ারিতে ১০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
সাম্প্রতিক ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল: বরিশাল ১০২, চট্টগ্রাম ৭৭, খুলনা ২৬, ময়মনসিংহ ৪ এবং রাজশাহী ৩০ জন। ঢাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৬৯ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে যে ঢাকার বাইরের বিভাগগুলোতেও রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনসাধারণকে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস, বাসাবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছেন, রোগী উপসর্গ যেমন জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা ও ত্বকে লালচেভাব লক্ষ্য করলে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।
কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মশক নিধন কার্যক্রমের মাধ্যমে আগামী মাসগুলোতে ডেঙ্গুর বিস্তার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি