News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ২ এপ্রিল ২০১৫
আপডেট: ০০:২২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ভুল ফল প্রকাশ: বিপাকে শিক্ষার্থীরা

ভুল ফল প্রকাশ: বিপাকে শিক্ষার্থীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের অবহেলায় ভুল ফলাফলের কারণে বিপাকে পড়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

বৃহষ্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জাবিসাস) অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাসিফ ইকবাল এক লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান।

জানা যায়, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৩৮ তম আবর্তনের  স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে উত্তীর্ণ (শিক্ষাবর্ষ ২০১২-১৩) শিক্ষার্থীদের ২০১২ সনের ৪র্থ পর্ব (চূড়ান্ত) স্নাতক সম্মান পরীক্ষার ফলাফল ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়, যা পরবর্তী সিন্ডিকেটেও অনুমোদিত হয়। প্রায় এক বছর পর গত ২০১৫ সালের ২৮ শে জানুয়ারি ওই পরীক্ষার ফলাফল সংশোধন করা হয়। এতে ৭০ জনের মধ্যে ৬৩ জনের ফলাফলে পরিবর্তন হয়। এই ফলাফলেও ভুল ধরা পড়ে।

সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এই ফলাফল বিষয়ক জটিলতার কারণে বিশেষ বিবেচনায় তাদের পঞ্চম সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয় কিন্তু কোনো সনদপত্র দেওয়া হয়নি। সমাবর্তনের পরে ১২ ফেব্রুয়ারি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয় এবং ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত এর কোনো অগ্রগতি হয়নি।”

এ অবস্থায় তৃতীয়বারের মতো স্নাতক চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল সংশোধনের প্রক্রিয়া বন্ধ করে প্রথম প্রকাশিত ফলাফল পুনর্বহালের দাবি করেন তারা।

জানা যায়, প্রথম প্রকাশিত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদনও করেন। এমনকি এরই  মধ্যে কয়েকজন সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার্থে রাশিয়ায় ২ জন, জাপানে ১ জন, চীনে ১ জন, আমেরিকায় ১ জন ও ডেনমার্কে ১ জন বৃত্তি পান। কিন্তু ফলাফল পরিবর্তন হলে তাদের বৃত্তি বাতিল এবং যারা চাকরি করছেন তাদের নিয়োগ বাতিল হবে।”

এই জটিলতা নিরসনে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

দাবি না মানলে ভুক্তভোগীরা আগামী ৮ এপ্রিল প্রশাসনিক অফিস ঘেরাও, মানববন্ধন এবং মানববন্ধন শেষে স্নাতক সম্মান পরীক্ষার সাময়িক সনদপত্রের প্রতিলিপিতে অগ্নিসংযোগ করার হুমকি দিয়েছেন।

এরপরও দাবি আদায় না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বরাবর স্বারকলিপি প্রদানসহ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করবেন তারা। প্রয়োজনে বিচার বিভাগের দ্বারস্থ হওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এ বিষয়ে উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আইয়ুব আলী নিউজ বাংলাদেশ.কমকে বলেন, ‘‘টাইপিংয়ের ভুলে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ফলাফলে ভুল ধরা পড়লে, যত সময় পরে হোক না কেনো তা সংশোধন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম।”

একই বক্তব্য দিয়েছেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হোসেন।.

নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়