News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৫৬, ৩১ আগস্ট ২০১৯
আপডেট: ০৩:৩৭, ১৯ জানুয়ারি ২০২০

মুন্সীগঞ্জে মামাকে পিটিয়ে মেরে ফেললো ২ ভাগিনা

মুন্সীগঞ্জে মামাকে পিটিয়ে মেরে ফেললো ২ ভাগিনা

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয় উপজেলার দক্ষিণ মেদিনীমণ্ডল গ্রামে এক ব্যক্তিকে বিদেশি লোহার লাইট দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার বোন ও দুই ভাগিনার বিরুদ্ধে। 

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। 

নিহত ইব্রাহীমকে (৩৩) ওই গ্রামের মৃত মো. রতন হাওলাদারের ছেলে। 

পারিবারিক ও বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

ইব্রাহীমের স্ত্রী শিরিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “ভাগিনা শামীম (২২) ও সেলিম (২৫) তাদের মা সুলতানা আক্তারের নির্দেশে আমার স্বামী ইব্রাহীমকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।” 

ইব্রাহীমের স্ত্রীকে দিয়ে সুলতানা আক্তার ঝিয়ের মতো তার বাড়িঘরের কাজকর্ম করান দীর্ঘদিন ধরে। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্নভাবে ইব্রাহীম ও তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন বোন সুলতানা। ইব্রাহীমের স্ত্রী যাতে বাড়িতে না থাকেন সেই জন্য নির্যাতন করতে থাকেন। 

শুক্রবার বিকেলে সুলতানা ও তার দুই ছেলে ডেকে নেন শিরিন আক্তারকে। এসময় তিনি বাবার বাড়ি যেতে চাইলে বাধা দেন বোন সুলতানা। 

তারা বাবার বাড়ি যেতে  নিষেধ করেন। এ বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে ইব্রাহীম বাড়িতে চলে আসেন। এমন সময় দুই ভাগিনা সুলতানা আক্তারের আদেশ পাওয়া মাত্র এলোপাতাড় বিদেশি লোহার টর্চ লাইট দিয়ে মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে লাইট দিয়ে জোরে ঘাড়ের ওপর উপর্যুপরি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ইব্রাহীম। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ইব্রাহীমকে ষোলঘর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

সরজমিনে পাওয়া তথ্য ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ইব্রাহীমের আপন বড়ভাই মো. হাসু হাওলাদারেরও এভাবে মৃত্যু হয়েছে। যদিও সেই ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছিল। আজ পর্যন্ত হাসুর সন্তান ও স্ত্রীকে এ বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে রেখেছেন বোন সুলতানা। 

সে সময়ের  ঘটনাটি ছিল রহস্যজনক। পদ্মাসেতুর জন্য অধিগ্রহণ করা জমি ও বাড়িতে রেখে যাওয়া বাবার সম্পত্তি ও নগদ টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে আপন বোন সুলতানা আক্তার ও তার দুই ছেলের সাথে ইব্রাহীমের বিরোধ চলে আসছিল। 

এ বিষয়ে লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসাইন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “লাশ মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়