যুক্তরাষ্ট্রে চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা, তারেক রহমানের নিন্দা

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যে রক্ষণশীল রাজনৈতিক নেতা ও ডানপন্থী যুবকর্মী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গভীর শোক ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্ট ও বিবৃতিতে তিনি এই শোক ও নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, চার্লি কার্কের মৃত্যুতে সারা বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে কেবলমাত্র রাজনৈতিক বিশ্বাস ও সক্রিয়তার কারণে কাউকে কখনোই সহিংসতার শিকার হতে হবে না। ধর্ম, মতাদর্শ কিংবা দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক না কেন, কারও জীবন এভাবে ঘৃণ্যভাবে শেষ হওয়া মেনে নেওয়া যায় না।”
তারেক রহমান আরও বলেন, আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং নিহতের পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও প্রার্থনা জানাচ্ছি।
চার্লি কার্ক বুধবার ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’ নামে পরিচিত ১৫-স্টপের ভ্রমণ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আরও পড়ুন: কাতারে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তারেক রহমানের নিন্দা
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপত্র জানিয়েছেন, গুলিটি কার্কের প্রায় ২০০ মিটার দূর থেকে ছোড়া হয়েছিল। নিহত কার্কের বয়স ছিল ৩১ বছর।
কার্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। সরাসরি শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বক্তব্য প্রদান করতেন। তার আলোচনায় মার্কিন রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা ও অভিবাসন বিষয়ক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ থাকত। এসব প্রশ্নোত্তর ভিডিও তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
চার্লি কার্কের হত্যার ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও নিন্দা জানিয়েছেন এবং নিহতের জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ হত্যাকাণ্ড বিশ্ববাসীকে এক শোকের ছায়ায় আবদ্ধ করেছে এবং রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে সহিংসতার শিকার হওয়ার বিপরীতে গণতান্ত্রিক সমাজে নিন্দার বার্তা দিচ্ছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি