‘ইসরায়েলি গণহত্যা’ বন্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান তারেক রহমানের
ফাইল ছবি
মধ্যপ্রাচ্যের নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান ‘ইসরায়েলি গণহত্যা’ বন্ধে জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি গাজায় চলমান সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানান এবং একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতির ভিত্তিতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
তারেক রহমান বলেন, ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন ও মানব নৈতিকতায় বিশ্বকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতিতে সুরক্ষিত পথেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব শক্তিগুলোকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার জন্যও জোর দেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা উল্লেখ করেন, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড ‘জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি বিষয়ক কনভেনশন (১৯৪৮)’ এর আইনি সংজ্ঞার সঙ্গে মিলে যায়।
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণ, ঝুঁকি মোকাবিলায় বিএনপিকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান
ওই আইনে বলা হয়েছে, একটি জাতি, নৃতাত্ত্বিক, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার অভিপ্রায়কে গণহত্যা হিসেবে গণ্য করা হয়।
তারেক রহমান জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক কমিশনের প্রতিবেদনের কথাও তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার মানবিক সংকট ও ব্যাপক প্রাণহানির সরাসরি দায় ইসরায়েলি সরকারের ওপর বর্তায়।
তিনি বলেন, প্রচারণার আড়ালে লুকানোর দিন শেষ। কোনো অজুহাত আর চলবে না। ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, নৈতিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে হয়। পথ কঠিন হলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যখন ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্বই হুমকির মুখে, তখন আমরা চুপ থাকতে পারি না।
ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাংলাদেশিদেরও তিনি আহ্বান জানান ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে এবং নিজেদের জাতীয় নেতাদের ইসরায়েলের এই ‘নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞের’ বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে চাপ দিতে।
তারেক রহমান আরও বলেন, রাষ্ট্রগুলোর হাতে পরিবর্তন আনার ক্ষমতা আছে। সবসময়ই থাকে। এখনই বিশ্বনেতৃত্বের দায়িত্ব আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








