News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৭৩ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন

৭৩ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন

ফাইল ছবি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৭৩টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনযোগ্য বেসরকারি সংস্থাগুলোর তালিকা প্রকাশ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক সাংবাদিকদের জানান, ভোটের সময় পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করতে ইসিতে মোট ৩১৮টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। এর মধ্যে ৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনযোগ্য বিবেচনা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আবেদনগুলো যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নীতিমালার ৪.৪ (ক) অনুচ্ছেদের আলোকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনযোগ্য এই ৭৩টি সংস্থার বিষয়ে কারও কোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, অর্থাৎ ২০ অক্টোবর ২০২৫-এর মধ্যে সিনিয়র সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, ঢাকা বরাবর লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা আপত্তি থাকলে তার স্বপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণসহ আপত্তিকারীর নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর উল্লেখ করে ছয় সেট আপত্তি দাখিল করতে হবে। আপত্তির শুনানি শেষে তা গ্রহণ বা বাতিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

আরও পড়ুন: বেআইনি, অন্যায় নির্দেশনা দেব না: সিইসি

মো. আশাদুল হক বলেন, পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ কারণে যে কোনো আপত্তি বা অভিযোগ যথাযথ প্রমাণসহ দাখিল করা হলে তা বিবেচনা করে চূড়ান্ত নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

এটি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের ধারাবাহিকতায় একটি পদক্ষেপ। প্রথমে এক বছরের মেয়াদ নির্ধারণ করা হলেও পরে তা নীতিমালা অনুযায়ী পাঁচ বছর করা হয়। ইতিহাস অনুযায়ী, ২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদা কমিশন ১৩৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয়। নবম সংসদ নির্বাচনে ৭৫টি দেশি প্রতিষ্ঠান ভোট পর্যবেক্ষণে অংশগ্রহণ করেছিল।

এরপর ২০১১ সালে ১২০ সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়, যার মেয়াদ ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শেষ হওয়ার পর কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ কমিশন তা আরও এক বছর বাড়ান। দশম জাতীয় সংসদে ৩৫টি প্রতিষ্ঠান ভোট পর্যবেক্ষণে ছিল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ১৯৯টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল, যার মধ্যে কে এম নুরুল হুদা কমিশন ১১৯টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয়। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ২১০টি আবেদনের মধ্যে ৬৮টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করে।

নির্বাচন কমিশনের সচিবালয় জানিয়েছে, সকল প্রাথমিক নিবন্ধনযোগ্য সংস্থার তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আবেদনকারীরা ২০ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে আপত্তি জানাতে পারবে, এরপর কমিশন তা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়