News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাশ্রয়ী ও নিরাপদ জ্বালানি সমাধানে গুরুত্ব ড. ইউনূসের

সাশ্রয়ী ও নিরাপদ জ্বালানি সমাধানে গুরুত্ব ড. ইউনূসের

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ যেন টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথে অগ্রসর হতে পারে—সে জন্য পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের দিকে দ্রুত রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ এবং তার সহকর্মীদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ও জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ দীর্ঘ সময় ধরে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকতে পারে না। এখনই সময় বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বের সঙ্গে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিকল্পগুলো—বিশেষ করে বৃহৎ পরিসরে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন—বিবেচনা করার।

তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি একটি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎনীতি প্রণয়ন করেছে, যাতে সৌরবিদ্যুতের প্রসারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, পারমাণবিক শক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গভীর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য।

তার ভাষায়, আমরা অবশ্যই এসব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবো। তবে প্রতিশ্রুতিশীল এসব প্রযুক্তির ওপর গভীর গবেষণা দরকার। একটি বিষয় নিশ্চিত—বাংলাদেশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা দ্রুত ও ব্যাপকভাবে কমাতেই হবে।

আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা

গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের ভাই এবং অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ এ সময় পরবর্তী প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও হাইব্রিড সিস্টেমের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসব প্রযুক্তি নির্ভরযোগ্য, শূন্য-কার্বন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম।

তার মতে, ভাসমান বার্জ-ভিত্তিক পারমাণবিক চুল্লিগুলো তুলনামূলক সাশ্রয়ী, কম রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য এবং বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্প খাতকে কয়েক দশক ধরে টেকসই শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম।

পেজ বলেন, পারমাণবিক শক্তি এখন আর বিশ্বব্যাংকের মতো বড় উন্নয়ন অর্থায়ন সংস্থাগুলোর কাছে নিষিদ্ধ বিষয় নয়। ইতোমধ্যেই ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ এ প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে তাদের বাড়তি জ্বালানি চাহিদা মেটাতে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শক্তিশালী রেকর্ড রয়েছে। তাই দেশটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তরে নেতৃত্ব দিতে পারে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জ্বালানির দাম স্থিতিশীল রাখা এবং শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করবে।

কার্ল পেজের মতে, বাংলাদেশ উদীয়মান প্রযুক্তির কৌশলগত কেন্দ্র হতে পারে এবং শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিতে পারে।

ভার্চুয়াল সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়