শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে শুনানি ১ জুলাই

ফাইল ছবি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ১ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এ মামলার একমাত্র গ্রেফতার হওয়া আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এদিন তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হবে বলে ট্রাইব্যুনাল থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর ঘটনায় ১৬ জন জড়িত
মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় চলতি বছরের ১২ মে। যাচাই-বাছাই শেষে ১ জুন চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা দেন। ওইদিনই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগপত্রটি আমলে নেয়।
পলাতক আসামিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দিতে ১৬ জুন দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। পরদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও তারা কেউ আত্মসমর্পণ করেননি।
জুলাই ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি চালনা, গণগ্রেফতার এবং পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে এ মামলা হয়।
অভিযোগে শেখ হাসিনাকে হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের মূল পরিকল্পনাকারী এবং নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্বাহী ও বাহিনীগুলোর সমন্বিত সহিংস অভিযানে সক্রিয় ভূমিকার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে আসাদুজ্জামান খান ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি