ঠোঁটের ধরন ভেদে লিপস্টিকও মানানসই হতে হবে

আমরা লিপস্টিক কেনার সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রংকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কিন্তু লিপস্টিকের টেক্সচার কেমন, সেটা দেখাও খুব জরুরি। কারণ সবার ঠোঁটে সবরকম লিপস্টিক মানায় না। এই সমস্যা প্রায় কমবেশি সকলেরই। তাই কেনার আগে অবশ্যই জেনে নেয়া উচিত কার কোন টেক্সচারে লিপস্টিক সবচেয়ে বেশি মানাবে।

ক্রিমি লিপস্টিক: যাদের ঠোঁট ছোট ও পাতলা তারা এই ধরনের লিপস্টিক লাগাতে পারেন। ক্রিম থাকায় এই লিপস্টিকে ঠোঁট অনেক ভরাট দেখায়। এই লিপস্টিক ঠোঁটের শুষ্কভাবও কাটিয়ে দেয়। যে কোনও সাজে যেকোনও সময়ই মানাবে এই ক্রিমি লিপস্টিক।

স্যাটিন ফিনিশ বা শিয়ার লিপস্টিক: এই লিপস্টিকে আবার অয়েল কনটেন্ট অনেক বেশি। তাই ঝলমলে গ্লসি লুক পাওয়ার জন্য এই লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতেই পারে। তবে এই লিপস্টিক যা রং দেখায় ঠোঁটে কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি গাঢ় হয়ে যায়। এই লিপস্টিকও ঠোঁটের শুষ্কভাব কাটিয়ে দেয়। তবে এই লিপস্টিক দিনের বেলায় এড়িয়ে যাওয়া ভাল।

ম্যাট লিপস্টিক: এই লিপস্টিক যার ঠোঁট যেমন তেমন টেক্সচারই দেখায়। তবে যাদের ঠোঁট খুব ফাটে বা শুষ্ক তাদের এই লিপস্টিক এড়িয়ে চলায় ভাল। ম্যাট লিপস্টিক লাগালে উপরে লিপবামও লাগালেও হয়। তবে এই লিপস্টিকের স্থায়ীত্ব অনেক বেশি তাই সারাদিনের অনুষ্ঠানে এই লিপস্টিক খুবই ভাল।

ট্রান্সফাররেজিস্ট্যান্ট লিপস্টিক: অনেকে অফিস বেরোন সকালে আর ফেরেন রাতে। আর এই লিপস্টিক তাদের জন্য একেবারে আদর্শ। এই লিপস্টিক সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একইরকম থাকে, এমনকি জলেও উঠে না। এই লিপস্টিক মুছার জন্য সলিউশন পাওয়া যায়। তেল কিংবা ময়শ্চারাইজার দিয়েও এই লিপস্টিক মুছা যায়। এই লিপস্টিকে ময়শ্চারাইজার কনটেন্টও স্বাভাবিক থাকে, ফলে ঠোঁটও শুষ্ক হয় না।

ফ্রস্টেড লিপস্টিক: এই লিপস্টিক খুব হালকা হয়। এই লিপস্টিক স্পার্কেল করে। তবে এই লিপস্টিক ঠোঁটও শুষ্ক করে না। দিনের যে কোনও সময়ই ব্যবহার করা যাবে এই লিপস্টিক।