News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৫ এপ্রিল ২০১৫
আপডেট: ২১:৫৫, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ঠেকাতে ফোন এসেছে, গ্রাহ্য করিনি

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ঠেকাতে ফোন এসেছে, গ্রাহ্য করিনি

ঢাকা: যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি না দিতে অনেক উঁচু স্তর থেকে থেকে তাকে টেলিফোন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে কোনো অনুরোধ-উপরোধকে আমি গ্রাহ্য করিনি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলা নববর্ষ পরবর্তী মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণভবনে এই মতবিনিময় সভা শুরু হয়।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী অপরাধীদের রক্ষার্থে মানবাধিকার সংগঠনগুলো মায়াকান্না কাঁদে। ফাঁসির বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা তো সাদ্দমের ফাঁসিতে হাততালি দেয়। অথচ যুদ্ধাপরাধীরা তো সাদ্দামের চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ করেছে। যারা অপরাধের শিকার তাদের জন্য এ সংগঠনগুলো চিন্তা করে না। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তাদের দুঃখ নেই কেন? অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াটাই তাহলে অপরাধ? মানুষ পুড়িয়ে মারলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই কেন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়? এ এক জটিল ফিলসফি!

এসময় তিনি পয়লা বৈশাখ উদযাপন সম্পর্কে বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে বলেন, এবার দারুন উৎসাহ-উদ্দিপনার সাথে সুন্দর পরিবেশে বাঙালি নববর্ষ উদযাপন করেছে। কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। এসময় ২০০১ সালে ১৪ এপ্রিল ছায়ানটে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শততম নববর্ষ উদযাপনে আওয়ামী লীগের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ৯৩ দিন অবরোধের সবচেয়ে জঘন্য ঘটনা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা। যিনি অবরোধ ডাকলেন তিনি অবরুদ্ধ হয়ে অন্যদের হত্যা করলেন। অথচ আন্দোলন তো মানুষের জন্য, মানুষকে হত্যা করতে নয়। অবরোধের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম জনমত তৈরী করায় সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য দেশটাকে উন্নত করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কথা দিয়েছি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব, কথা অনুযায়ী বিচার শুরু করেছি। এরই মধ্যে দুইটি বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। অন্যদের বিচারও সম্পন্ন হবে। যত বাধাই আসুক আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচার শেষ করবই। কেউ ঠেকাতে পারবে না।

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক পদ্মাসেতু নির্মাণের তহবিল বন্ধ করে দিল। তারা ভেবেছে আমরা এই সেতুটি নির্মাণ করতে পারব না। এখন আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু করছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি, কারও কাছে মাথা নত করি না। যে যত বড় চ্যালেঞ্জ দিক, আমরা তা গ্রহণ করব। সততাই আমার শক্তি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফই

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়