নির্বাচনে নৌকা স্থগিত, শাপলা বাদ: ১১৫ প্রতীকের তালিকা প্রকাশ

আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নতুন নির্বাচনী প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তালিকায় ১১৫টি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তবে ‘নৌকা’ প্রতীক স্থগিত রাখা হয়েছে এবং ‘শাপলা’ প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ (প্রেসিডেন্স অর্ডার নং ১৫৫ অব ১৯৭২)-এর আর্টিকেল ৯৪ অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এ এই সংশোধনী আনা হয়েছে। 

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তালিকায় নৌকা প্রতীক স্থগিত রেখে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক পুনর্বহাল করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তালিকায় ১১৫টি প্রতীকের মধ্যে রয়েছে আপেল, আনারস, কোদাল, টেবিল ঘড়ি, ফ্রিজ, মোড়া, খাট, ট্রাক, বক, মোরগ, আম, খেজুর গাছ, টেলিফোন, বাঘ, রকেট, আলমিরা, গরুর গাড়ি, টেলিভিশন, বই, রিকশা, ঈগল, গাভী, ডাব, বটগাছ, লাউ, উটপাখি, গামছা, ঢেঁকি, বাঁশি, লিচু, উদীয়মান সূর্য, গোলাপ ফুল, তবলা, বেঞ্চ, লাঙ্গল, একতারা, ঘণ্টা, তরমুজ, বেগুন, শঙ্খ, কাঁচি, ঘুড়ি, তারা, বাইসাইকেল, সোনালী আঁশ, কবুতর, কলম, ঘোড়া, থালা, বালতি, সেলাই মেশিন, চাকা, দাঁড়িপাল্লা, বেলুন, সোফা, কলস, চার্জার লাইট, দালান, বৈদ্যুতিক পাখা, সিংহ, কলার ছড়ি, চাবি, দেওয়াল ঘড়ি, মই, কাঁঠাল, চিংড়ি, দোয়াত কলম, মগ, সুটকেস, হরিণ, কাপ-পিরিচ, চেয়ার, দোলনা, মাইক, হাত (পাঞ্জা), কাস্তে, চশমা, ধানের শীষ, মটরগাড়ি (কার), হাতঘড়ি, কেটলি, ছড়ি, নোঙ্গর, মশাল, হাতপাখা, কুমির, ছাতা, নৌকা, ময়ূর, হাঁস, কম্পিউটার, জগ, প্রজাপতি, মাছ, কলা, কুড়াল, জাহাজ, ফুটবল, মাথাল, টিউবওয়েল, ফুলকপি, মিনার, কুলা, টিফিন ক্যারিয়ার, ফুলের টব, মোমবাতি, কুঁড়ে ঘর, টেবিল, ফুলের মালা, মোবাইল ফোন, হাতি, হাতুড়ি, হারিকেন, হুঁকা এবং হেলিকপ্টার।

আরও পড়ুন: নভেম্বরে প্রবাসী ভোটের নতুন অ্যাপ

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, ‘শাপলা’ প্রতীক আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত তালিকায় নেই, তাই এটি বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয়নি। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শাপলা প্রতীকের জন্য আবেদন করলেও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে নিবন্ধন পাওয়ার পরও তারা শাপলা প্রতীক পাবে না।

এ বিষয়ে এনসিপি নেতারা ফেসবুক ও বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। 

উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম ফেসবুকে লিখেছেন, আমরা দেখব নির্বাচন কিভাবে অনুষ্ঠিত হয়। 

দলের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। 

তারা দাবি করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তাদের আবেদনকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিকল্প প্রতীক নির্বাচন করতে বাধ্য হতে পারে।