News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২২:০২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন নীতি

দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন নীতি

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা, নৈতিকতা ও উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিল।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর নিয়মিত মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। প্রশিক্ষণের ধরন, মান এবং কার্যকারিতা নির্ধারণ করে প্রতিটি কেন্দ্রকে ক্যাটাগরিভিত্তিক র‌্যাংকিং করতে হবে। এছাড়া একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করে সব গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে পদ্ধতিগত ও স্বতন্ত্রভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

সভায় ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ কমিয়ে ছয় মাস থেকে চার মাস নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠ পর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই পদক্ষেপ সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের প্রভাব ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৪৯তম বিশেষ বিসিএস ১০ অক্টোবর সকাল ১০টায়

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। তা না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করতে আমাদের সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নিয়মিত মূল্যায়ন জরুরি। একই সঙ্গে একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে, যা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন এবং কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করবে। বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা কর্মকর্তাদের তথ্যও সেখানে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ‘সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ’কে নতুন নাম দিয়ে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করা হবে। 
হালনাগাদকৃত কারিকুলামে এটি মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও আয়োজন করা যাবে। এছাড়া কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রেষণ অনুমোদন দেওয়া হবে।

কর্মচারীদের সততা, নৈতিকতা এবং দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, আচরণবিজ্ঞান, আচরণবিধি ও নৈতিকতা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়েছে, যা এই সমস্ত নীতি বাস্তবায়ন ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সভার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা যেন মানসম্পন্ন হয় এবং তা দেশের প্রশাসনিক কার্যক্রমে বাস্তব উন্নতি নিয়ে আসে, তার জন্য এই সিদ্ধান্তগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়