খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য বাতিলের আবেদন নাকচ
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদার জিয়ার অনুপস্থিতিতে দুর্নীতির দুই মামলায় যে সব সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন তা বাতিল চেয়ে নতুন করে সাক্ষ্য নেয়ার আবেদন আদালতে দাখিল করেছেন চেয়ারপারসনের দুই আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তবে আদালত এ আবেদন না মঞ্জুর করেছেন।
এদিকে সোমবার ঢাকার বকশীবাজার এলাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে পৌঁছানোর আগেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সোমবার সকালে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে খালেদা জিয়া এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন।
খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে যে সব সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন তা বাতিল চেয়ে নতুন করে সাক্ষ্য নেয়ার আবেদন দাখিল করেছেন তার দুই আইনজীবী। তারা হলেন, সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়া অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে দেয়া প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ আইনানুগ হয়নি।
আদালত খালেদার জিয়ার আইনজীবীদের এ আবেদন না মঞ্জুর করে আসামিকে জেরা করার আদেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণ ১৮ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে চারবার খালেদা জিয়া বিশেষ জজ আদালতে হাজিরা দিতে উপস্থিত হলেন। ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর ও ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল তিনি বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়েছিলেন।
সোমবার মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হারুন-উর রশীদ সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
খালেদার পক্ষে শুনানি করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. খন্দকার মাহাবুব হোসেন ও অ্যাড. এজে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেছেন অ্যাড. মোশাররফ হোসেন কাজল।
এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরো একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
নিউজবাংলাদেশ/টিএ/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম